Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে’


৫ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৫

ঢাকা: একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণের নীতি গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সে কারণে সরকার প্রশাসন, গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সবকিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমাদের তরিকুল ভাই মারা গেছেন একবছর আগে। তার ঠিক একবছর পর আমাদের আরেকজন নেতা, যিনি সাহসী ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে পরিচিত, সেই সাদেক হোসেন খোকাও গত ৪ নভেম্বর মারা গেছেন। সবাই একদিন মারা যায়। আমাদের ছেড়ে যারা চলে যাচ্ছেন, তাদের মৃত্যুও যদি স্বাভাবিক হতো, তাহলে আমাদের বলার কিছু ছিল না। কিন্তু আমরা দেখেছি, তরিকুল ইসলাম দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনে বেশিরভাগ সময়ই নির্যাতিত হয়েছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তরিকুল ইসলাম পাকিস্তান সরকারের হাতে ১৯৭১ সালে নির্যাতিত হয়েছেন। তারপর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে, বাকশাল সরকারের হাতে, স্বৈরাচারী সরকারের হাতেও নির্যাতিত হয়েছেন। এমনকি তিনি যখন রোগ্রাক্রান্ত, তখনো তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ সারাদেশে অত্যাচার-নির্যাতন দেখে মনে হয়, এই সরকার পাকিস্তান সরকারকেও হার মানিয়েছে। ২৬ লাখ মানুষকে তারা আসামি করেছে। পাঁচ শতাধিক মানুষকে তারা গুম করে দিয়েছে। হাজারেরও বেশি মানুষকে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। এ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবার জন্য তারা সমগ্র শক্তি দিয়ে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জোর করে ২৯ ডিসেম্বর রাতে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তার একমাত্র উদ্দেশ্য, তারা গণতান্ত্রিক দেশকে একটি অকার্যকর দেশে রূপান্তরিত করতে চায়। তারই ফল আমরা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র প্রতিবেদনেও দেখেছি। তারা বলেছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সঠিক নয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুট করা হয়েছে, শেয়ারবাজার লুট করা হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে, যে টাকা দিয়ে পাঁচটি পদ্মাসেতু নির্মাণ করা যেত।

সরকার দেশের সবকিছু কুক্ষিগত করতে চায় উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একদিকে বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসন ধ্বংস করা হয়েছে, অন্যদিকে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। আর এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন বলে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হয়েছে। তাই তাকে জেল থেকে মুক্ত করলেই কেবল দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি ঘটবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশনেত্রীর মুক্তি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে।

স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান, আব্দুল আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

টপ নিউজ তরিকুল ইসলাম বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্মরণসভা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর