Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মালয়েশিয়া পারলে বাংলাদেশ কেনো পারবে না?’


৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯

ঢাকা: বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উপর জমে থাকা মামলা জট কমানো বিষয়ে মালয়েশিয়ার উদাহরণ দিয়ে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি জাকি বিন আজমী বলেছেন মালয়েশিয়া পারলে বাংলাদেশ কেনো পারবে না। মামলার জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে মিলনায়তনে আইনজীবীদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় শীর্ষক এক সভায় তিনি এ পদ্ধতির কথা বলেন।

মালয়েশিয়ার সাবেক এ প্রধান বিচারপতি বলেন, মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় মধ্যস্থতা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। তবে এই পদ্ধতি গ্রহণের আগে সেখানে ভিকটিমের সম্মতি নেওয়া হয়। এটা কারণে ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হয়। সেখানে সকলপক্ষই এমনকি আইনজীবীরাও খুশী। বাংলাদেশেও এটা চালু করা গেলে আশা করি বাংলাদেশ উপকৃত হবে।

তিনি বলেন, একটি মামলার বিচার নিষ্পত্তি করার পরই কেবল আরেকটি মামলা ধরতে হবে। মামলায় শুনানি মুলতবি করা যাবে না। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে মালয়েশিয়ায় মামলা জট কমেছে।

বিচারপতি জাকি বিন আজমী বলেন, মামলার জট কমানো গেলে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়তে পারে। তার উদাহরণ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। ওই দুটি দেশ পারলে আশা করি বাংলাদেশও পারবে। এই প্রত্যাশা করছি। তবে এ জন্য বাংলাদেশের আইনজীবীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে মামলার জট কমাতে হলে বিচারকদের কাজে আইনজীবীকে সহযোগিতা করতে হবে। আদালতের সিদ্ধান্ত পছন্দ হোক আর নাই হোক তা মানতে হবে। বার ও বেঞ্চের পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া মামলার জট কমানো সম্ভব না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বর্তমানে দুবাই আন্তর্জাতিক আর্থিক আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেব দায়িত্বে থাকা জাকি বিন আজমী বলেন, একটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারলে আইনজীবী নতুন মামলা ধরতে পারবেন। এভাবে তিনি অনেক মামলা করতে পারেন। ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবারও কোনো আশংকা থাকে না।

এ সময় বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে সহযোগিতার মানসিকতা দেখাতে হবে আইনজীবীদের। মামলা মুলতবি রাখার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা বারের সিনিয়র সদস্যদের সম্মান করে থাকি। তিনি অন্য আদালতে ব্যস্ত থাকলে মামলা মুলতবি করি। এটাও পরিবর্তন হওয়া দরকার।

আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুবউদ্দিন খোকনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।

বাংলাদেশ বাংলাদেশের বিচার বিভাগ মালয়েশিয়া


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর