পাসপোর্ট করাতে এসে ধরা পড়লেন রোহিঙ্গা নারী
৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৭
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে সুখতারা নামে এক রোহিঙ্গা নারীকে আটক করা হয়েছে। পরিচয় গোপন করে শাহিদা আক্তার নামে তিনি পাসপোর্ট করাতে এসেছিলেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পাসপোর্ট ফরম জমা দেওয়ার সময় কাউন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার স্বামী সেজে আসা ব্যক্তি পালিয়ে যান।
সূত্র জানায়, পাসপোর্ট ফরমে তিনি স্বামীর নাম উল্লেখ করেন বাবুল ফকির। তার বাড়ি জাজিরা উপজেলার পালেরচর গ্রামে।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, সুখতারা দু’টি ফরম জমা দেন। প্রথমে তিনি বাবুল ফকিরের ফরম জমা দেন, তারপর শাহিদা আক্তারের। কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী হিসাব রক্ষক সালেহ আহমেদ শাহিদার জবানবন্দি নেন। সে সময় তিনি স্বামীর নাম এবং গ্রামের নাম ছাড়া আর কিছু বাংলায় বলতে পারেননি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় সুখতারার স্বামী সেজে আসা ব্যক্তি পালিয়ে যান।
পাসপোর্ট করাতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ ও পরিচয়পত্র নিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান নিবন্ধক হিসেবে শাহিদার জন্ম সনদ ও পরিচয়পত্রে সিলসহ স্বাক্ষর করেছেন। পাসপোর্ট ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করেছেন পূর্ব নাওডোবা আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফাহাদ হোসেন সৌম্য বলে জানায় সূত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে সুখতারা বলেছেন, বাবুল ফকিরের সঙ্গে তার চট্টগ্রামে দেখা হয়। বাবুল তাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেবেন বেলে আশ্বাস দিয়েছেন। শরীয়তপুর থেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তিনিই প্রস্তুত করে দিয়েছেন। স্ত্রী সাজিয়ে বাবুল ফকিরই তাকে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক শেখ মাহাবুর রহমান বলেন, শুরু থেকেই ওই নারীর আচরণ সন্দেহজনক ছিল। আমরা কথা বলে যা বুঝেছি— তাকে কয়েকটা বাংলা শব্দ শেখানো হয়েছে, সেগুলো বাইরে তিনি কিছুই বাংলায় বলতে পারেন না। তাকে পালং মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।