আদালতে অঝোরে কাঁদলেন আবরারের পিতা
৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৪৫
ঢাকা: আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার সময় অঝোরে কাঁদলেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের বাবা মো. মজিবুর রহমান। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা।
আবরারের লাশ তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ
মজিবুর রহমান জবানবন্দিতে বলেন, গত ১ নভেম্বর কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে আমার ছেলে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান চলাকালে বিকেলে আবরারের বন্ধুর মধ্যমে জানতে পারি আবরার হাসপাতালে। সেখানে ছুটি গিয়ে তার মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রথম আলোর সংশ্লিষ্টরা কেউ আমাকে আগে থেকে জানায়নি। প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আবরার অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সেই ঘটনা কাউকে না জানিয়ে তারা অনুষ্ঠান চালিয়ে গেছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িদের বিচার দাবি করেন আবরারের বাবা।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দ্রুত আবরারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় যে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে সেই মামলা এবং আদালতে দাখিল করা অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এছাড়া আগামী ১ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেন নাইমুল আবরার। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছিল তা অরক্ষিত থাকায় অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতা প্রয়োজন, তা ছিল না। এছাড়া ঘটনাস্থলের কাছে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থাকলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। ৪টা ৫১ মিনিটে ডাক্তার আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কিশোর আলো ও স্কুল কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর সংবাদ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।
এছাড়া বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।