পত্রিকা ছাপায় ৫ হাজার, দেখায় দেড় লাখ: তথ্যমন্ত্রী
৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৩১
ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকার পত্রিকাগুলোর অনেকেই ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে না। অথচ ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেন সার্কুলেশন বেশি দেখিয়ে। মন্ত্রী হওয়ার পর আমি দেখেছি, এমনও পত্রিকা আছে যেটির সার্কুলেশন মাত্র এক হাজার। আবার সারাদেশে ৫ হাজার সার্কুলেশন থাকলেও সুবিধা নেওয়ার জন্য দেড় লাখ কপি ছাপ হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। অচিরেই এসব বন্ধ করে শৃঙ্খলায় আনা হবে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৯ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকরা অনেক উপকৃত হতো। তবে মালিকরা অনেকেই এটা করছে না। অথচ ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেয়। পত্রিকাগুলো আমাদের কাছে সার্কুলেশনের এক হিসাব দেয়, ট্যাক্স অফিসে আরেক হিসাব দেয়। সরকারি দুই দফতরে দুই হিসাব চলবে না। তাদের নজরদারি ও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতো, যা শুধু বাংলাদেশেই প্রচার করা হতো, এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালে দূরে রাখতো। আমরা ১-৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চ্যানেলগুলো ও পরবর্তীতে বেসরকারি চ্যানেলের সিরিয়াল করিয়েছি। তাদের যেভাবে শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে, একইভাবে পত্রিকাগুলোকেও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’
বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানির নাম করে যারা বাজারে পণ্য বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ করার অনুরোধ করেন তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একসময় বেসরকারিভাবে বন্ডেড ওয়্যারহাউজের অনুমোদন ছিল না, সরকার তাদের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের পণ্য বাজারে চলে আসে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। যেখানে যেখানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আপনারা সেক্টর ধরে ধরে রিপোর্ট করেন তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো ফিগার আউট করতে সুবিধা হবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ক্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, ক্র্যাবের ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম তসলিম উদ্দিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ।