Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ ঘোষণা


৯ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪৪

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বন্দরে সব ধরনের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাতটার মধ্যে জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে দিয়ে সাগরের গভীর নোঙ্গরে পাঠানো হয়েছে। ইয়ার্ড ও জেটিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিগুলোকে রশি দিয়ে বেঁধে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে এলার্ট ফোর জারি করা হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সচিব ওমর ফারুক।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বন্দরের জেটিতে ষোলটি জাহাজ ছিলো, বহিঃর্নোঙ্গরে আগে থেকেই পঞ্চান্নটি জাহাজ রয়েছে। এখন পাঠানো হয়েছে ষোলটি। জাহাজগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বন্দরে কন্টেইনার উঠানামা, খালাস ও ডেলিভারিসহ সব ধরণের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সমুদ্র শান্ত ও স্বাভাবিক হলে বন্দরের কার্যক্রমও স্বাভাবিক হবে।’

এদিকে প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এছাড়াও আবহাওয়ার এক বিশেষ বুলেটিনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ থেকে এটি এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার সকাল পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়ার আকারে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

‘বুলবুল’-এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর থেকে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এছাড়া এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭ থেকে ৯ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এ অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বুলবুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর