রাত ৮টায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত!
৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৪
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দেশের উপকূলীয় ৯ জেলায় আঘাত হানতে পারে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মোংলা বন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। এটি এখন ১৫/২০ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে। আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতি বেগ হতে পারে ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। তাতে ধারণা করা হচ্ছে রাত ৮টা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।
ঝড়ের যে গতিবেগ ও দিক-নির্দেশনা ৮৭ দশমিক ৮ অক্ষংশে বুলবুল এগিয়ে যাচ্ছে। এটি উত্তর দিকে এগোচ্ছে। যদি এ গতিতে এগোতে থাকে তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে আঘাত হানবে। এখন জোয়ারের সময় তাই ঝড়ের সঙ্গে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলের ৩ লাখ লোক সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যেসব স্থানে ঘুর্নিঝড় আঘাত হানতে পারে, সেসব এলাকার ১৮ লাখ লোক সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিতে হবে এবং সে কাজ দ্রুতই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জনগণের পাশাপাশি নৌযান শ্রমিকসহ সাগরে থাকা সকলকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আর একাজে নৌবাহিনী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জননিরাপত্তা বিভাগ কাজ করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৫৪৬টি স্বাস্থ্য টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও বড় ধরনের দুর্যোগ সামাল দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
যারা এখন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে, তাদের জন্য প্রতি জেলায় ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও দশ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গো-খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের ছয় জেলা এবং খুলনার তিন মোট নয় জেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানতে পারে। দুই বিভাগে মোট ৪ হাজার ৭১ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। শুকনো খাবার ছাড়াও প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রতিদিন রান্না করে খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এসব ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কম। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা শতভাগ দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।