Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মহাবিপদ সংকেত উপেক্ষা করে মেঘনায় মাছ শিকারে জেলেরা


৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:১১

প্রতীকী ছবি

ভোলা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে উপকূল এবং নদীবন্দরগুলোতে। এই অবস্থা উপেক্ষা করে মেঘনায় মাছ শিকারে যাচ্ছেন ভোলার জেলেরা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ভোলায় মেঘনার তুলাতুলি, ভোলার খাল, মনপুরা পয়েন্টে মাছ শিকার করতে দেখা যায়। সকাল থেকেই ছোট ছোট নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে নদীতে যান জেলেরা।

তারা বলছেন, আকাশ মেঘলা থাকলে নদীতে মাছ বেশি পাওয়া যায়। পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে আমরা তীরে চলে আসব।

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে উত্তাল হচ্ছে মেঘনাও। লাইফ জ্যাকেট, গাড়ির চাকার টিউব নৌকায় নিতে দেখা যায়নি জেলেদের।

আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকা এবং ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় এক হাজার জেলে নৌকা নিয়ে মেঘনায় মাছ শিকারে গেছেন। আড়ত মালিকরাও তাদের ফেরার অপেক্ষায় বসে আছেন। জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরলে তারা আড়ত বন্ধ করবেন।

এ প্রসঙ্গে ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সকাল থেকেই নদীর পারে গিয়ে জেলেদের নিষেধ করেছি। তারা কোনো কথাই শুনছে না। আমরা কোস্টগার্ডের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার ব্যবস্থা করছি।’

এদিকে উপজেলার চর নিজাম ও কলাতলীর চরের ২০ হাজার মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসেননি।

চর নিজামের ইউপি সদস্য নূর নবী মোবাইল ফোনে জানান, গত রাতে রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরাও মসজিদে মসজিদে মাইকিং করেছে। তবু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না। একই অবস্থা কলাতলীরচরেও।

বিজ্ঞাপন

ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপক বলেন, মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন পশ্চিম পাশে শামসুদ্দিন চরের ১৮ পরিবারকে নিরাপদে আনতে তিনটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।

ঘূর্ণীঝড় বুলবুল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর