মোংলা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে বুলবুল
৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৯
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তার অবস্থান থেকে আরও এগিয়ে এসে মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে মাত্র ২৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সবশেষ অবস্থান জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
আবহাওয়া দফতরের উপ-পরিচালক আয়েশা খাতুন জানান, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ৭৪ কিলোমিটার কেন্দ্রের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে বয়ে যাচ্ছে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। তবে সন্ধ্যা নাগাদ এটি আরও অগ্রসর হয়ে উপকূল এলাকায় বাতাসের গতিবেগ হয়তো আরও বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৪০ কিলোমিটার, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৭৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা অথবা মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল হয়ে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দামকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমকালে উল্লেখিত জেলাগুলোসহ অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর ওপর দিয়ে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।