ঝুঁকিপূর্ণ ২৫০ কি.মি. বেড়িবাঁধ, সাতক্ষীরায় সেনা মোতায়েন
৯ নভেম্বর ২০১৯ ২১:০৪
সাতক্ষীরা: উপকূলবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কাজ করছে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে গঠিত টিম।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এস. মোস্তফা কামাল শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, জানমালের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর ১০০ সদস্যের একটি টিম উপকূলীয় এলাকায় কাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলার ২৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৭ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী— এই তিন স্তরে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে ৮৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা ও গবাদি পশুর জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও খালে থাকা নৌযানগুলো নিরাপদ স্থলে আনা হয়েছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তফা কামাল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, সাতক্ষীরায় ২৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা যদি ৭ ফুটের বেশি হয় তাহলে বেড়িবাঁধ ধসে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া দফতরের উপপরিচালক জুলফিকার অলী জানান, দুপুর পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ২৯ মি.লি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।