Monday 02 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোলায় ঘূর্ণিঝড়ে দেড় শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত, ট্রলার ডুবিতে নিহত ১


১১ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭ | আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০২:০৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভোলা: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ভোলা জেলায় দেড় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। অপর দিকে ইলিশা এলাকার মেঘনা নদীতে একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত থেকে রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত গোটা জেলায় ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাস বইছিলো। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। উপড়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

রোববার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ঝড়ো বাতাসে চরফ্যাশন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অপর দিকে চরফ্যাশনের আব্দুল্লাহপুরের ২৪ জেলেসহ একটি ট্রলার চাঁদপুর জেলার মৎস্য ঘাট থেকে মাছ বিক্রি করে চরফ্যাশনের উদ্দেশে ফিরে আসার সময় ভোলার ইলিশা মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এ পর্যন্ত ১০ জন জেলেকে জীবিত ও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন জেলে। নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহন উপজেলার লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন এবং চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ এলাকায় কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ সময় লালমোহনের পিয়ারিমোহন গ্রামে ঘর চাঁপা পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অতি বৃষ্টির কারণে ভোলা সদরের ৬৩টি ইট ভাটার কয়েক লাখ কাঁচা ইট গলে গিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দোয়ের দোয়া ইট ভাটার মালিক মো: আমির হোসেন।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক জানান, যাদের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদেরকে ঘর নির্মাণ করার জন্য ২ বাণ্ডিল টিন, ৬ হাজার টাকা ও চাল দেওয়া হবে। এছাড়া গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্যে নগদ ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে।

তিনি আরও জানান, বুলবুল মোকাবেলায় প্রশাসন থেকে ব্যাপক প্রস্ততি নেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ লাখ ২৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল টপ নিউজ ভোলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর