‘মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ উত্তরে নেতৃত্বে আসছেন ত্যাগী নেতারা’
১১ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫৮
ঢাকা: দীর্ঘ একযুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। এরই মধ্যে সম্মেলন ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই ইউনিট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা যারা রাজপথে ছিলেন, তারাই এই সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তরের ইউনিটে স্থান পাবেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতি, টেন্ডার ও চাঁদাবাজির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে, তাদের তারা কোনো পদ পাবেন না এবারের সম্মেলনে। যারা সৎ ও যোগ্য এবং রাজনীতিতে যাদের দীর্ঘ পথপরিক্রমা রয়েছে, দলের হাইকমান্ড তাদেরই নেতৃত্বে নিয়ে আসবেন। আর এই প্রক্রিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যও পর্যালোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে বলেন, নেত্রীর শুদ্ধি অভিযানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই নতুন সব কমিটি গঠন করা হবে। বিতর্কিত ব্যাক্তিদের বাদ দেওয়া হবে। কেউ যদি কমিটিতে চলেও আসে, তাদেরও বাদ দিতে হবে। নিয়ম বহির্ভূত কিছুই নেত্রী সহ্য করবেন না। দলীয় আদর্শবিরোধী কিছু হলে নেত্রী ব্যবস্থা নিবেন।
দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটি দেখভাল করছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। সম্মেলনে নেতৃত্ব কেমন হবে— জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আমরা শুধু যে যার মতো করে মতামত দেবো। তবে যাদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা উঠেছে, সম্মেলনে তাদের প্রার্থী হওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। এটুকু বলতে পারি, এবার যোগ্য, সৎ, ক্লিন ইমেজ ও রাজনীতিতে দীর্ঘ পথপরিক্রমা যাদের রয়েছে, তাদেরই নির্বাচিত করা হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগে আলোচনায় যারা
সম্মেলন ঘিরে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেব লীগের শীর্ষ পদগুলোতে আলোচনায় উঠে এসেছে বেশকিছু নাম। স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া, তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি লায়ন এম এ লতিফসহ বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে এই তালিকায়।
১০ বছর ধরে মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল সারাবাংলাকে বলেন, শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঢাকা মহানগর উত্তরে সৎ, দক্ষ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতৃত্ব উপহার দেবেন বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। দীর্ঘ দিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছি, কাজের মূল্যায়ন হবে বলে আশাবাদী। তবে পদ-পদবীই সব কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী যেভাবেই মূল্যায়ন করবেন, সেভাবেই কাজ করব।
সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। সংগঠনে অনেকেই পদে ছিলেন, যারা বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাদের কারণে অনেক ত্যাগী নেতাও বঞ্চিত হয়েছেন। আশা করছি, এবার সেই ত্যাগী নেতারাই মূল্যায়ন পাবেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসহাক মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, আমরা যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এসেছি, তাদের মূল্যায়ন করা হবে বলে আশা করছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মেনে আমি ছাত্রলীগে দায়িত্ব পালন করেছি। তিনি যদি আবারও কোনো দায়িত্ব দেন, তা সঠিকভাবে পালন করতে চাই।