ট্রেনচালকদের আরও প্রশিক্ষণ দরকার: প্রধানমন্ত্রী
১২ নভেম্বর ২০১৯ ১১:০৪
ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য চালক ও সংশ্লিষ্টদের আরো অধিক প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ বেপজার ৩৪তম গভর্নিং বোর্ডের সভার শুরুতে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
মঙ্গলবার ভোররাত পৌনে ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।
সভার শুরুতে দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করে ভয়াবহ এই ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতিসমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বক্তৃতার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে অবশ্য একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আজকে মধ্যরাতে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত যে খবর পেয়েছি তাতে প্রায় ১৬জন মানুষ মারা গেছে আর অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের রেলমন্ত্রী ওখানে চলে গেছেন। সকলেই সেখানে উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়েছে। গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ঘটনা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারলাম কিন্তু দুভার্গ্য যে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটে গেল। আমি ঠিক জানি না কেন? শীত মৌসুম আসলেই কিন্তু আমাদের দেশে নয় সারাবিশ্বেই দেখি যে রেলের দুর্ঘটনাটা ঘটতে থাকে।”
এব্যাপারে যারা রেলে কাজ করে তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত এমন মত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই সাথে সাথে যারা রেলের চালক তাদেরও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
তার সরকারের মেয়াদে রেল খাতকে গুরুত্ব দেয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, রেলপথে যোগাযোগটা সবচেয়ে নিরাপদ এবং আমরা এটার উপর গুরুত্বও দিয়েছি। এখন নতুন নতুন রেল সম্প্রসারণ করে দিচ্ছি। পণ্য পরিবহন ও মানুষ পরিবহনসহ সব ক্ষেত্রেই রেল যথেষ্ট নিরাপদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাই হোক, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং যারা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আমরা যথাযথ ব্যবস্থার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটা করছি।’
সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেপজা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এমএম