সার্টিফিকেট জালিয়াতি, রাজস্ব কর্মকর্তার ১৬ বছরের কারাদণ্ড
১২ নভেম্বর ২০১৯ ১২:৫৫
ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে সরকারি রাজস্ব কর্মকর্তা (শূল্ক আবগারী ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা) কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগের মামলায় মো. মনিরুজ্জামানের ১৬ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও মরিয়ম বেগম ওরফে ময়না বেগম দম্পতির ছেলে।
রায় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রেজাউল করিম রেজা জানান, আদালত ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এরমধ্যে প্রতারণার অভিযোগে দণ্ড বিধির ৪২০ ধারায় ৭ বছর, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ড বিধির ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর এবং জাল জেনেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ চাকুরী পেতে ব্যবহার করার অভিযোগে দণ্ড বিধির ৪৭১ ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে সকল ধারার সাজা এক যোগে কার্যকর হবে মর্মে আদেশ থাকায় আসামিকে ৭ বছর কারাদণ্ডই ভোগ করতে হবে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি মনিরুজ্জামান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও তার বাবা মো. আব্দুস সামাদ এর নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ তৈরি এবং নিজে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রত্যায়নসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তৈরি করে তা দাখিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকরি নেন। যার মাধ্যমে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তাই রায়ে সে গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা গণনা শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আসামি মনিরুজ্জামান ২০১৪ সালের ১১ মে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে চাকরি পান। এ সংক্রান্ত অভিযোগ দুদকের কাছে এলে ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। উপপরিচালক এস এম গোলাম মাওলা সিদ্দিকী অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হয়। ওই বছরই আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।
