ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা খুঁজতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ
১২ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:২৮
ঢাকা: এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কিনা তা শনাক্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ জন্য ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। ওই কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয় এমন একজনকে সংযুক্ত করতে হবে। কমিটিকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
পরে ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত মে মাসে ডেঙ্গু বিষয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি রুল জারি করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মামলাটি এসেছিল। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কি কাজ করা হয়েছে, সে বিষয়ে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আদালত শুনানি নিয়ে বলেন, সরকারি হিসেবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এর পেছনে নিশ্চিয়ই কোন অবহেলা ছিল। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যর্থতা বা গাফিলতি আছে কিনা, সেটি তদন্ত করতে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে একটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন আদালত। ওই কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের নিচে নয়, এমন পদমর্যাদার একজনকে কাউকে সংযুক্ত করবেন। এই কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেবেন।’
তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীট-তত্ত্ব বিভাগ, আইসিডিডিআরবি, গণস্বাস্থ্য বিভাগ, প্লান প্রটেকশ উইংয়ের সহযোগিতা নিতে পারবেন। এর বাইরেও যাদের যাদের সহযোগিতা দরকার তাদেরও কমিটি নেওয়া যাবে।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়। যেখানে সরকারি হিসেবে ১১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানানো হয়।
গত ২৮ আগস্ট এক আদেশে আদালত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেওয়া কাজের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক শুরু হলে গত ৪ জুলাই স্বপ্রণোদিত এক আদেশে ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূল ও ধ্বংসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফায় এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয় এবং নির্দেশনা দেন আদালত।
আদালতের আদেশে জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে ওষুধ এনে ডেঙ্গু নিধনে কাজ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।