হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন রাবেয়া খাতুন ও সাদাত হোসাইন
১২ নভেম্বর ২০১৯ ২০:৫৫
ঢাকা: ‘হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯’ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন ও তরুণ সাহিত্যিক সাদাত হোসাইন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে কথাশিল্পী রায়েয়া খাতুনের হাতে পুরস্কারের অর্থমূল ৫ লাখ টাকা ও সাদাত হোসাইনের হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. হায়দার আলী, লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহরাজ আফরোজ শাওন ও অন্যদিন প্রকাশনার সম্পাদক মাজহারুল ইসলামসহ অনেকে।
লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে ২০১৫ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার।’ এ পর্যন্ত এই পুরস্কার পেয়েছেন শওকত আলী, হাসান আজিজুল হক, জ্যোতিপ্রকাশ দত্তসহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা।
এবার এই আয়োজনে সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য পুরষ্কারটি পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। নবীন সাহিত্য ক্যাটাগরিতে পুরষ্কার পেয়েছেন সাদাত হোসাইন। তার পুরষ্কার পাওয়া বইয়ের নাম নিঃসঙ্গ নক্ষত্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিখ্যাত কিংবদন্তী কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার বিতরণ ২০১৯ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার সৌভাগ্য যে উনার শেষ দিনগুলোতে পাশে থাকার সুযোগ পেয়েছি। এমন মানুষের শেষ সময়ে পাশে থাকা অনেক কম লোকের ভাগ্যে জোটে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের লেখনি সব মহলে সমাদিত। কারণ স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে অনার্স-মাস্টার্স সবার জন্য উনার লেখা খুব আকর্ষণীয়। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। যার জন্য তিনি আমাদের মাঝে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।’
অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন হুমায়ূন আহমেদ নন্দিত লেখক, কিন্তু কিংবদন্তী লেখক কি? আমি বলব- তারা ভুল বলেন। কারণ হুমায়ূন আহমেদ কিংবদন্তী লেখক বলেই জননন্দিত।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আপন সৃষ্টিশীলতায় আচ্ছন্ন রেখেছেন ৩ কোটি বাঙালিকে। তার একটা নিজস্ব কণ্ঠস্বর আছে। পড়ামাত্রই তার লেখা চেনা যায়। পরিস্থিতি নির্মাণ, বর্ণনাভঙ্গী, সংলাপে তিনি এমন এক শৈলীর উদ্ভাবন করেছেন যা বাংলাসাহিত্যে অতুলনীয়। হুমায়ূন আহমেদ যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন।