যুদ্ধাপরাধীরা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে থাকতে পারবে না
১৩ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৫৮
ঢাকা: বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিতরা অংশ নিতে পারবে না। এ বিষয়ে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সচিবালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আসছে বিজয় দিবসের কোনো আয়োজনে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধে বিতর্কিত কাউকে যেন আমন্ত্রণ জানানো না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নিরাপত্তা ও সেবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিজয় দিবসে সারাদেশে কীভাবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশক্রমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যথাযথ নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় যারা পতাকা উত্তোলন করেন তারা রঙ মলিন হয়েছে এমন পতাকাও তুলে দেন। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকা তুলবে তার সঠিক মাপ ও ফ্রেশ রঙ থাকতে হবে। পুরানো ছিঁড়ে যাওয়া পতাকা কেউ তুলতে পারবে না। বিজয় উদযাপনে অনেকে এমনিতেই পতাকা তোলেন, সেটি তুলবেন। কিন্তু তার পরের দিন নিয়ম অনুযায়ী সম্মানের সঙ্গে নামিয়ে রাখবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় আলোকসজ্জা করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে মাথায় রেখে ১৪ তারিখ সারাদেশে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। ১৪ ডিসেম্বর যাতে কোনো আলোকসজ্জা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১৪ ডিসেম্বরের পর আলোকসজ্জা করা যাবে।’
জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশিদের জন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। ঢাকা-সাভার রোডে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে, যাতে কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে না পারে। স্মৃতিসৌধের পুরো জায়গা ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোনো তোরণ করতে দেবে না। মেট্রোপলিটন এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি আরও জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা করতে চাইলে সাতদিন আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্তারিত জানাতে হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়। এছাড়া জেলাখানা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।