Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৮ কোটি টাকা


১৩ নভেম্বর ২০১৯ ২০:২২

সংসদ ভবন থেকে: এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, এসব ঋণের মধ্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৬ হাজার ৫ কোটি টাকা, বাকি ৮ হাজার ৪২ কোটি টাকা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মুলতবি অধিবেশন বিকেলে শুরু হয়।

সংশ্লিস্ট প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ প্রণয়ন করেছে। এ আইনের আলোকে খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ১৬ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মহিবুল রহমান মানিকের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, কর্তব্য ও কর্মপরিধি সম্পর্কে দিকনিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১২ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

মো. মহিববুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণে ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ও বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে অনলাইনে সরাসরি আবেদন করে থাকে। গত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২৪৬ জন সরকারি কর্মচারী ঋণের আবেদন করলেও ১৯০ জন এ সুবিধা পেয়েছেন। আবেদনে ত্রুটি থাকায় ৫৬ জনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ নীতিমালার আওতায় একক আবেদনকারী কেবলমাত্র জমি কেনার জন্য কোনো ঋণ সুবিধা পাবেন না। তবে গ্রুপভিত্তিক জমি কেনাসহ বাড়ি নির্মাণের জন্য ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পীর ফজলুল রহমানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার রোধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে বিদেশে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে অর্থ পাচার বিষয়ক প্রায় ৪০টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কর্ফোস কাজ করছে।

গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে দেশে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ৪৫ লাখ ১৬ হাজার ৬৩২ জন। ঢাকাসহ ২৭ কর অঞ্চলের মাধ্যমে করদাতারা কর দিচ্ছেন।

রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান বিও অ্যাকাউন্টধারীদের মধ্যে সব বিনিয়োগকারী একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন করেন না। কিছু বিনিয়োগকারী প্রায়ই লেনদেন করেন, কিছু বিনিয়োগকারী স্বল্প ও দীর্ঘ বিরতির পর লেনদেন করেন। পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্যের উখান-পতন একটি স্বাভাবিক ঘটনা। এর ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বিনিয়োগকারীদের লাভ-লোকসান হতে পারে।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ১৩ হাজার ৪৩৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল খেলাপি ঋণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর