সরকারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ, হংকংয়ে অচলাবস্থা
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৩১
সরকারবিরোধী আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে হংকং। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চতুর্থ দিনের মতো এই অচলবস্থা জারি আছে। সরকারি নির্দেশক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রেলসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের জের ধরে ক্রস হারবার চ্যানেল অবরোধ করে হংকংয়ের সাথে চীনের মূল ভূখন্ডের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। খবর রয়টার্স।
এদিকে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে, পাঁচ মাস ধরে চলমান এই আন্দোলনে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আন্দোলনকারীদের সবচেয়ে সহিংস অবস্থায় দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন যানবাহন ও সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে। ভাঙচুর চালিয়েছে প্রধান প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে। বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে পুলিশ স্টেশনে পেট্রোলবোমা ছুড়তেও দেখা গেছে।
অপরদিকে, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট চার্জ করেছে পুলিশ।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে পুলিশের বর্বোরচিত ভূমিকার কারণেই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠেছে। ক্রিস্টি নামের একজন আন্দোলনকারী রয়টার্সকে জানিয়েছেন সরকার ও পুলিশের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা আন্দোলনকে উস্কে দিচ্ছে, সহিংস করে তুলছে। এখন সরকারই পারে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।
হংকং পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলন বিপদজনক ও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বুধবারের (১৩ নভেম্বর) সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬৪ জন আহত হয়েছেন।
হংকংয়ের পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে চীনের কোনো ভূমিকা নেই বলে দেশটির সরকারি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষকরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছে চীন।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিজেদের স্বার্থে হংকংকে অচল করে দিয়ে আন্দোলনকারীরা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
ক্যারি লাম চীন পুলিশ প্রধান নির্বাহী যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারবিরোধী আন্দোলন হংকং