মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নামে থাকছে না কোনো কলেজের নাম
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:২২
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন, তাদের নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কলেজের নাম থাকবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত পাঁচটি কলেজের নাম এরই মধ্যে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি কলেজের নাম পরিবর্তনও করা হয়েছে। বাকি চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাঙ্গামাটির রাবেতা মডেল কলেজ নামে পরিচিত কলেজটির নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। নতুন নাম রাখা হয়েছে লংগদু মডেল কলেজ। এতদিন বিশেষ একটি সংস্থার মাধ্যমে কলেজটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল।
যে চারটি কলেজের নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সেগুলো হচ্ছে— হবিগঞ্জের মাদবপুরের সৈয়দ সঈদউদ্দিন কলেজ (নাম পরিবর্তন করে হবে মৌলানা আছাদ আলী ডিগ্রি কলেজ), কক্সবাজারের ঈদগাও ফরিদ আহমেদ কলেজ (নতুন নাম ঈদগাও রশিদ আহমেদ কলেজ), টাঙ্গাইলের বাসাইল এমদাদ হামিদা কলেজ (নতুন নাম বাশাইল ডিগ্রি কলেজ) ও গাইবান্ধার ধর্মপুর আব্দুল জব্বার কলেজ (পরিবর্তিত নাম ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজ)।
একবছর আগে সারাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নামে থাকা কলেজগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এসব কলেজের নাম পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিচালনা পর্ষদকে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, কলেজগুলোতে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নাম চিহ্নিত করে তা পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরণ করতে হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচটি কলেজের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট মানবতাবিরোধী অপরাধীদের নামে থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনের যে রায় দিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে সব ডিসিপ্লেনে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ বইটি অবশ্যই পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।