Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা ছাড়াল, বিক্রেতারা দুষছেন অভিযানকে


১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:০৪ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:১১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: কোনো কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসবে। মাঝে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দেড়শ টাকা ছাড়ায়। সেই ধারবাহিকতা এখনও বাজারে বিদ্যমান। দিন দিন লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে পণ্যটির দাম।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে মিসর ও মিয়ানমারের পেঁয়াজের দামও। বিক্রিতেরা বলছেন, অভিযানের ভয়ে তারা নতুন করে পেঁয়াজ কিনছেন না। এতে পণ্যটির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এর দাম বেড়েই চলেছে।

বর্তমানে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শ্যামবাজার বণিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী মো. মাজেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখন ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া মিসরের পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার এমন আকাশচুম্বি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজ নেই। তাই বিক্রেতারা কিনছে না। এছাড়া রয়েছে অভিযানেরও ভয়।’

কারওয়ান বাজারে পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা অন্তর বলেন, ‘বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা এবং মিসর ১৪৪ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’ কারওয়ান বাজারের খান অ্যান্ড সন্স বাণিজ্যালয়ের মালিক গৌতম বাবু সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিসরীয় পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কারওয়ান বাজারে পাইকারিভাবে দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তারও এক সপ্তাহ আগে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার মিসরের পেঁয়াজ ১২৮ টাকা ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়া প্রসঙ্গে কারওয়ান বাজারের খান অ্যান্ড সন্স বাণিজ্যালয়ের গৌতম বাবু বলেন, ‘কোন দোকানেই এখন পেঁয়াজ নেই। আমরা ভয়ে পেঁয়াজ কিনছি না। বেশি দামে কিনে এনে তো আর কম দামে বিক্রি করা যাবে না। বাজারে অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানের ভয়েই বাজারে পেঁয়াজ নেই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শ্যামবাজার আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি দল। অভিযানে মাত্রাতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি এবং পেঁয়াজের মূল্যতালিকা না টাঙানোয় তিন দোকানিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ওই অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

অভিযানের কারণের দাম বাড়ছে ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল জব্বার মণ্ডল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কতো টাকায় পেঁয়াজ কিনে আনছে, আর কতো টাকায় বিক্রি করছে আমরা সেই তথ্য দেখছি। মূল্য তালিকা টাঙানোর কথা বলছি। জনস্বার্থেই তাদের এটা করা উচিত। আমরা তো দাম নির্ধারণ করে দেইনি। অভিযানের কারণে দাম বাড়ার কথা- এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

তবে পেঁয়াজ নিয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীনও মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। দেশের বাইরে থাকায় এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।

অভিযান পেঁয়াজ ২০০ টাকা