Wednesday 02 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খালেদার জামিনে জোর প্রস্তুতি, ১৪০০ পৃষ্ঠার আবেদন জমা


১৪ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৫৪ | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৪২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। মূল রায় ও হাইকোর্টের খারিজাদেশসহ এক হাজার ৪০১ পৃষ্ঠার আবেদনে তার জামিন চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

খালেদা জিয়ার জামিন করাতে জোরালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়, ৭০০ পৃষ্ঠার আপিলের নথি এবং হাইকোর্টের খারিজ আদেশসহ ১৪০১ পৃষ্ঠার জামিন আবেদন করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বেগম জিয়ার অসুস্থতা, বয়স বিবেচনাসহ বেশকিছু গ্রাউণ্ডে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। বিচার বিভাগ সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে আশা করি তার জামিন হবে।’

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি আপিল বিভাগ বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেবেন।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। কেননা তার বয়স, সামাজিক অবস্থা ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় তিনি জামিনের যোগ্য। এছাড়া তাকে যে অপরাধে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে তার সর্বোচ্চ সাজাই সাত বছর। সেটি তাকে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনি দেড় বছর সাজা খেটে ফেলেছেন। এ অবস্থায় তিনি জামিন পাবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।’

আগামী রোববার জামিন আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।

এর আগে গত ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার অপরাধের গুরুত্ব, সংশ্লিষ্ট আইনের সর্বোচ্চ সাজা এবং বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদাসহ অন্য আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত- এ তিন বিবেচনায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন ও মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।

রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর গত বছরের ১৮ নভেম্বর খালেদার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনও করা হয়।

১৪০০ পৃষ্ঠার আবেদন খালেদার জামি জোর প্রস্তুতি