Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ-নেপাল যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর পরামর্শ রাষ্ট্রপতির


১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১১:০৮

বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোসহ জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, টেকসই সড়ক, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিদ্যুৎ, রেল ও বিমান যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, পর্যটন ও দু’দেশের জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়ানোর মতো ক্ষেত্রগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব খাতে আমাদের দুই দেশেরই অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে হোটেল ইয়াক অ্যান্ড ইতি-এ রাষ্ট্রপতির সম্মানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারির দেওয়া ভোজসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ও ভাষার বন্ধন রয়েছে। নেপালের সঙ্গে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকে বাংলাদেশ। নেপালের উন্নয়ন প্রকল্প, বিশেষ করে ‘সমৃদ্ধ নেপাল, সুখী নেপাল’ ভিশন পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

পারস্পরিক সহায়তায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যেকার চমৎকার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্র ও আঞ্চলিক ফোরামে আমাদের ঐতিহ্যগত ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অব্যাহত রাখব এবং অভিন্ন প্রত্যাশা পূরণে একসঙ্গে কাজ করব।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নেপালের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনগণের পক্ষ থেকে দেওয়া নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তার বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণ সর্বদা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আজ আর্থসামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের সরকার ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায়।

২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য গৃহীত কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি আশা করছি, বন্ধুপ্রতীম নেপালের জনগণ আমাদের এই আনন্দ ও সুখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করে নেবে।’

রাষ্ট্রপতি ও তার সফরসঙ্গীরা কাঠমান্ডুতে পৌঁছালে তাদের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এর আগে, নেপালের প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশকে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।

বিদ্যা দেবী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সুস্বাস্থ্য এবং নেপাল ও বাংলাদেশের জনগণের অব্যাহত সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম, নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট নন্দ বাহাদুর পুন, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, সংসদ সদস্য ও নেপালের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, রেজওয়ান আহমাদ তৌফিক, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বাড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল শামীম-উজ-জামান ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। বাসস।

নেপালের প্রেসিডেন্ট নৈশভোজ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির নেপাল সফর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর