নাচ-গান-বাদ্য ও কবিতায় ঢাবিতে নবান্ন উৎসব
১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১০:২৫
আজ শনিবার, পয়লা অগ্রহায়ণ। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উপলক্ষে জাতীয় নবান্ন উৎসব পালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায়।
এদিন (১৬ নভেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে বাঁশি, দোতরা ও তবলায় দেশীয় যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় এই উৎসব। জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পর্ষদের চেয়ারম্যান লায়লা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, গুণী অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারসহ অন্যান্য সংস্কৃতিজন।
উৎসবটিতে একক সংগীত, দলীয় সংগীত, একক নৃত্য, দলীয় নৃত্য পরিবেশনা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় সবার অংশগ্রহণে শুরু হয় নবান্ন শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি একটু ঘুরেই ফের উৎসবস্থলে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন দেশের বিশিষ্ট সংগীত, নৃত্যশিল্পী ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সদস্যরা। এছাড়া উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে পরিবেশন করা হয় মুড়ি-মুড়কি। নাচ, গান, বাদ্য কবিতায় মেতে ওঠে চারুকলা প্রাঙ্গন। অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বিকেল ৪টায়।
উৎসবে অংশ নিয়ে ফেরদৌসী মজমুমদার বলেন, বলা হয় বাঙালিদের ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। অন্যথায় জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যায়। আমাদের সন্তানদের অন্যদিকে ধাবিত হওয়ার প্রয়াস থাকে। সেখান থেকে আমরা তাদের সরিয়ে নিয়ে আসতে চাই।
তিনি বলেন, বাঙালি ঐতিহ্যগুলো যদি আমরা তাদের সামনে তুলে ধরতে পারি তাহলে তাদের মনে এই বীজগুলো থেকে যাবে। নিশ্চয় তারা বাঙালি ঐতিহ্য, প্রকৃতি, সংস্কৃতিকে ভালোবাসবে।
সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মানবিকতার জন্য এসব উৎসবের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। এই উৎসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে লালন করে।
আয়োজকদের কাছ থেকে জানা যায় ১৪০৬ বঙ্গাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এ উৎসবটি প্রথম শুরু হয়েছিল। পরে ১৪০৭ সালের ৩ অগ্রহায়ণ এ আয়োজন চলে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায়। সেই থেকে প্রতি বছর ১ অগ্রহায়ণ চারুকলাতে উৎসবটি পালন করা হয়। তারা এই দিনটিকে সরকারের কাছে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানান।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলা দিনপঞ্জি বদলে যাওয়ায় ১৪২৬ বঙ্গাব্দে প্রথমবারের মতো আশ্বিন মাসের গণনা শুরু হয়েছে ৩১ দিন হিসাবে। সে হিসেবেই আজ পহেলা অগ্রহায়ণ।