জাপান থেকে বড় বিনিয়োগে আসছে: অর্থমন্ত্রী
১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:০১
ঢাকা: চট্টগ্রামের আড়াইহাজারে জাপানিদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় বিনিয়োগ আসছে। সেসব বিনিয়োগে কোনো ধরণের সমস্যা চায় না সরকার।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের মধ্যে পারস্পরিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি জানান, আলোচনায় জাপানিদের প্রকল্পের বিষয় উঠে এসেছে। বিশেষ করে কোন প্রকল্প কি অবস্থায় আছে সেসব জানা গেছে। চট্টগ্রামের আড়াইহাজারে জাপানিদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বড় বিনিয়োগ আসছে। আমরা ওই প্রকল্পে কোনো ধরনের সমস্যা চাইনা। সেজন্য আগে থেকেই সাবধান আছি। প্রকল্পগুলোতে যেসব ছোটখাটো সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানেই আজকে আমরা বসেছি। জাপানি বিনিয়োগ অগ্রাধিকার তালিকায় আছে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে ওই প্রকল্পগুলো সম্পর্কে আমরা মাঝে মাঝেই নির্দেশনা পাই। এছাড়া, মাতারবাড়ি, মেট্রোরেলসহ সব প্রকল্পই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তদারকি করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপানের কাছ থেকে বড় আকারের বিনিয়োগ আশা করা হচ্ছে। কারণ আমাদের অবকাঠামো নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূত সন্তোষ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এজন্য প্রো-অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন। এজন্যই আশা করছি, আগামীতে এদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়বে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশে আসবেন কিংবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানে যাবেন, তখন নির্ধারিত হবে বিনিয়োগের পরিমাণ।
মন্ত্রী জানান, ভ্যাট, ট্যাক্স নিয়ে কিছু জায়গায় তাদের সঙ্গে জটিলতা আছে। সময়মত তারা সেসব নিয়ে কোথাও অভিযোগ করেনি। ফলে সেগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এনবিআর চেয়ারম্যান আশা করছেন তাদের নিয়ে আরেক দিন বসলেই বিষয়গুলো সুরাহা হয়ে যাবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগের প্রকল্পগুলোতে আমরা কিছু সমস্যা চিহিৃত করতে পেরেছি, যা খুবই নগণ্য এবং অল্প সময়ের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানে আমরা আশাবাদী। আমাদের দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে দুই দেশেই অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। এছাড়া, বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও এর গভীরতা বৃদ্ধির জন্য দেশটির বিনিয়োগকারীদের সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, ইপিজেড এর বাইরে শ্রমিকদের মজুরি পার্থক্য, ইপিজেড এর কোম্পানিগুলোতে নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপানের এ্যাম্বাসেডর, জাপানের সোমিটমো করপোরেশন, মারুবিনি, নিপন, টেকেন, মাতারবাড়ি প্রকল্প, অমেরা গ্যাস-১, জেট্রো, জাপান কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি এসোসিয়েশন ইন ঢাকা এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশর পক্ষে ইআরডির সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থ সচিব আব্দুল রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়্যারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।