Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেঁয়াজের দাম: ক্রেতার কাছে ২২০, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৫০


১৬ নভেম্বর ২০১৯ ২০:০০

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বেসামাল পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ফের চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।খাতুনগঞ্জে দিনভর প্রতিকেজি ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলেও জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সামনে দাম কমিয়ে দেওয়া হয় প্রায় ১০০ টাকা। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির কথা জানিয়েছেন পাইকারী বিক্রেতারা।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জে যৌথভাবে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ও গালিব চৌধুরী।

গালিব চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দাম পেঁয়াজ বিক্রি করায় খাতুনগঞ্জের বার আউলিয়া বাণিজ্যালয়কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুল্য তালিকায় ৮৫ টাকা লেখা থাকলেও তারা মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি করছিল ১৫০।

তিনি জানান, খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুরে তারা ভালো মানের মায়ানমারের পেঁয়াজ ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছেন। আর মায়ানমারের কিছুটা নিম্নমানের পেঁয়াজ এবং তুরস্ক-মিশর থেকে আসা পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখেছেন।

তবে শনিবার দুপুরে নগরীর খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটে মায়ানমারের পেঁয়াজ প্রতিকেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে এবং তুরস্ক-মিশরের পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবারও মায়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল খাতুনগঞ্জে।

ক্রেতার কাছে একদর এবং প্রশাসনের সামনে ভিন্নদর প্রদর্শনের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০০ টাকা বা এর চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে খুচরা বাজারে। আমরা এখনো খুচরা বাজারে অভিযান করিনি। পাইকারী বাজারে আমরা যেটা নিশ্চিত করতে চেয়েছি, সেটা হচ্ছে- মূল্যতালিকায় যা লেখা আছে, বিক্রিও যেন সেই দামে হয়।’

এদিকে খাতুনগঞ্জের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘুরে কোথাও আমদানিকারকের দেওয়া ইনভয়েস এবং বিক্রির রশিদ পাইকারী বিক্রেতারা কেউ দেখাতে পারেননি। গালিব চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইনভয়েস প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। কিন্তু কারও কাছে সেটা পাওয়া যায়নি। সেটা পেলে আমরা বুঝতে পারতাম, আমদানি কি দামে হয়েছে আর বিক্রি কী দামে হচ্ছে? গলদটা কোথায় আমরা বুঝতে পারতাম। আমরা বিক্রেতাদের সতর্ক করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

গত সেপ্টেম্বরে ভারত আকস্মিকভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৩০ টাকার পেঁয়াজ দিনশেষে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে বিক্রি হতে শুরু করে। আর খুচরা বাজারে সেটা ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।

এই অবস্থায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন খাতুনগঞ্জসহ বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজার, আমদানিকারকের আড়তে অভিযান শুরু করে। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও করে প্রশাসন। প্রতিবার অভিযানের পর পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও এক-দুইদিন পরই তা আবারও বেড়ে যায়। এর মধ্যে গত সপ্তাহের শেষদিকে এসে পেঁয়াজের দর অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০০ টাকায় গিয়ে পৌঁছে।

চট্টগ্রাম দাম পেঁয়াজ বিক্রি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর