পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ
১৭ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৪১
ঢাবি: পেঁয়াজ, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তারা রাজধানীর শাহবাগে জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার শাহবাগে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘উন্নয়নের বাংলাদেশ, পেঁয়াজ কিনতেই টাকা শেষ’, ‘প্রধানমন্ত্রী করে কী, খায় দায় ঘুমাই নাকি?’, ‘সস্তায় পেঁয়াজ দে, নইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘গণবিরোধী সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘কৃষক পায় না ধানের দাম, তাও বাড়ে চালের দাম’, ‘পেঁয়াজ নাকি আসমানে, সরকার প্রধান তাই জান‘, ‘রাখতে বাজার নিয়ন্ত্রণ, তদারকির প্রয়োজন’, ‘১০ টাকার চাল নাই, তিনশ টাকার পেঁয়াজ খাই’, ‘জন দুর্গতির সরকার, আর নাই দরকার‘ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউল্লাহ বলেন, চামড়ার দাম কমে যায়, চামড়া পুতে ফেলা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি নাকি পেঁয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। এটা কোনো দায়িত্বশীল কথা নয়। মাথায় যদি ব্যথা হয় তাহলে মাথা কেটে ফেলতে হয় না।
সমাবেশে ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘‘চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বলেছেন, ‘পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।’ আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করুন।’’
সমাবেশে ডাকুসর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘সরকার বলেছিল ১০টাকায় চাল, লবণ খাওয়াবে। আজ সেখানে চাল ৫০ টাকা কেজি। এই তাদের দিন বদলের সনদ। তারা এমন দিন বদলের সনদ দিয়েছে যে মানুষকে না খেয়ে থাকতে বলতে হয়। যেখানে শত সহস্র বছর ধরে মানুষ পেঁয়াজ খেয়ে আসছে সেখানে মানুষকে পেঁয়াজ না খেতে বলা হয়। সরকার প্রতিটি পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তাতে দেশ একটা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগোচ্ছে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকার পরও রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে নামছে না উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘৯০-এর দশকে তৎকালীন ছাত্রসংগঠনগুলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে, রাজনৈতিকদলগুলো কর্মসূচি দেয়। কিন্তু আজকে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে আমরা ছাত্ররা মানুষের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছি।’
দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সরকারের জবাবদিহীতা নেই দাবি করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘এ কারণে দেশ আজ দুর্বৃত্তায়নের দুষ্টুচক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এগুলোর দ্বরা প্রভাবিত হচ্ছে। সরকারের কনসার্ন ছাড়া কেউই কাজ করতে পারে না। এসময় তিনি সকল অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন ও মশিউর রহমানসহ অনেকে।