ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বস্ত্র খাতের উন্নয়ন, সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি এই খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করা হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার শ্রী বিশ্বদীপ দে, বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ‘ভিশন-২০২১ অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণোয়ন করেছে।
তিনি বলেন, প্রদর্শক ও দর্শনার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার এই সুযোগ শিল্প উদ্যোক্তা, ভোক্তা, আমদানিকারক, সরবারহকারীদের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্কের সেতুবন্ধন গড়ে তুলবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই প্রদর্শনী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারবে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রতিযোগিতা সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বাড়ানোর মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের নেওয়া নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্রখাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখি এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা হবে।