বাংলাদেশে আরব আমিরাতের আরও বড় বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪৩
ঢাকা: পারষ্পরিক সুবিধার্থে বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে বিশেষ করে তৈরি পোশাক, তথ্য প্রযুক্তি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) উদ্যোক্তাদের আরও বড় আকারের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৭ নভেম্বর) তার সম্মানে ইউএই বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চলে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং হাইটেক পার্কে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
আবুধাবিতে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানকালীন হোটেল সাংরি-লা’তে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস সুবিধা এবং একশোর অধিক অবকাঠামোসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সব থেকে সহনীয় বিনিয়োগ নীতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা তৈরি পোশাক শিল্প, ভবন অবকাঠামো নির্মাণ, নির্মাণ শিল্প, যোগাযোগ, জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, হাল্কা প্রকৌশল, শিল্প পার্ক এবং পণ্য সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে বিনিয়োগ করতে পারে।’
তৈরি পোশাকের পরেই রফতানির ক্ষেত্রে কৃষিভিত্তিক পণ্য উল্লেখযোগ্য আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আরব আমিরাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষিজাত এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশ এবং আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক ব্যবসা এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতেই বাংলাদেশ এবং ইউএই’র যৌথ উদ্যোগের জন্য সম্ভাবনাময় বেশ কিছু খাত খোঁজে বের করেছি।’
বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে পারষ্পরিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যৌথ উদ্যোগের ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহুমুখীকরণ হবে এবং সম্প্রসারণ ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যে সম্পর্ক বহুমুখী এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।’
বাংলাদেশের পণ্য আমদানির জন্য ইউএই’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে ইউএই ফার্মাসিউটিক্যাল সামগ্রী, পাট এবং পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, নীটওয়্যার, ফ্রোজেন ফুড, বস্ত্র, হোম টেক্সটাইল, কৃষিপণ্য এবং প্রকৌশল সামগ্রী আমদানি করতে পারে।’
আরও পড়ুন- দুবাই এয়ারশো ২০১৯-এ যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শীর্ষ উদ্যোক্তাগণ এবং ইউএই’র স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং তাদের সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসস।