একযুগ সাজা খেটে ফের ডাকাতিতে, প্রাণ গেল ‘বন্দুকযুদ্ধে’
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৪:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই মামলায় এক যুগ সাজা খেটে মুক্ত হওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে আব্দুল আজিজ নামে এক ব্যক্তির। চারদিন আগে দিনেদুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বাসায় ঢুকে আজিজ ও তার সহযোগীরা মিলে ডাকাতির পর তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৭ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে নগরীর খুলশী থানার নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি আবাসিক এলাকার পেছনে ঢেবারপাড়ে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খুলশী খানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রনব চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি ডাকাতির ঘটনার পর আজিজকে আমরা গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিলাম। গত (রোববার) রাতে নাসিরাবাদ প্রপার্টিজের পেছনে ঢেবারপাড় এলাকার তার উপস্থিতির খবর পেয়ে আমরা গ্রেফতার অভিযানে যাই। সেখানে আজিজ ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর এবং গুলি ছোঁড়ে। আমরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে তারা পিছু হটে। পরে ঢেবারপাড়ে একটি টিলার ওপর আজিজের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়।’
ওসির দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি প্রনব জানান, গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে খুলশী থানার গরীবউল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় আরিফুল হক নামে এক ব্যক্তির বাসায় তিনজন ডাকাত ঢুকে এক নারীকে জিম্মি করে দুটি মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুট করে। এ ঘটনায় খুলশী থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্তে নামে। প্রথমে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার খিরাইকান্দি থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা ও চালক শাহজালালকে আটক করে।
শাহজালালের তথ্যের ভিত্তিতে লুট করা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয় নগরীর কোতোয়ালী থানার পুরাতন গির্জা এলাকার নবরত্ন জুয়েলার্স থেকে। ওই জুয়েলার্সের মালিক দুর্জয় বণিককে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ডাকাতিতে জড়িত মোহাম্মদ রফিক (৫২) নামে একজনকে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রফিকের তথ্য অনুসারে রোববার রাতে আজিজকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ঢেবারপাড় এলাকায় যায় বলে ওসি প্রনব জানিয়েছেন।
আজিজের বিষয়ে ওসি প্রনব চৌধুরী বলেন, ‘হত্যা ও জননিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আজিজ ১২ বছর জেল খেটে তিনমাস আগে জামিন পায়। এরপর সে আবারও ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তার সহযোগী রফিক এবং শাহজালালের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।’