বুয়েট অচল করে দিতে চায় বিএনপি: নওফেল
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৫০
ঢাকা: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল অভিযোগ করে বলেছেন, নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অচল করে দিতে চায় বিএনপি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থীদের সব দাবি বাস্তাবায়ন করার পরও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিএনপি রাজনৈতিক সুবিধা নিতে এক অভিভাবকের মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে দেশের শীর্ষমানের এই প্রতিষ্ঠানটিকে অস্থির করে রেখেছেন ‘
উপমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। সরকারের অর্থে পরিচালিত হলেও এটি স্বায়ত্বশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সেখানে আবরার হত্যার মতো মর্মান্তিক এক ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন অপরাধীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে পুলিশ চার্জশিট জমা দিয়েছে। অথচ এর পরও নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে বুয়েটকে অচল করে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিএনপিপন্থী আইনজীবী সমিতির এক নেতা তার সন্তানের মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে এ আন্দোলন অব্যাহত রাখছে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে তা জানতে চাচ্ছে।’
মহিবুল হাসান বলেন, ‘প্রযুক্তির সহায়তায় আমাদের কাছে সবধরনের তথ্য এসেছে। মেধাবীদের প্রতিষ্ঠান বুয়েট। তাই আমরা কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা বা অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না। আপনারা তাদের সন্তানদের মঙ্গলের কথা চিন্তা করে সঠিক পথ দেখান। উস্কানিমূলক আচরণ করে জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় অচল রেখে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এসব যারা করছেন তাদের সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে।
উপমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত অপরাধীরা কারাগারে আটক রয়েছে। তাদের বিচারকাজ চলছে। এ সময় বুয়েট থেকে তাদের স্থায়ী বহিস্কারের ইস্যু তুলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করছেন।’
তিনি বলেন, ‘স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। এর জন্য সময় প্রয়োজন। যেহেতু অপরাধীরা কারাগারে আটক; এ সময় তাদের স্থায়ী বহিষ্কার মুখ্য বিষয় নয়। এই ইস্যুতে আন্দোলন চাঙ্গা রাখা হবে, তা হতে পারে না।’
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকদের সর্তক করে তিনি বলেন, ‘আমরা সব কিছু মনিটর করছি। আপনারা সন্তানদের মঙ্গলে সঠিক পরামর্শ দেন। তা না হলে আমরা কঠোর হয়ে উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আবাসিক কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইস্যুতে কথা বলছেন। আমাদের সমস্যা নিয়ে তাদের কথা বলাটা একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এটি আমরা প্রত্যাশা করি না।’