বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলো চালু করতে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে
১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫২
ঢাকা: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) বন্ধ মিলগুলো ফের চালু করতে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চীনের শানজি ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড ডেলিগেটদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বস্ত্র অধিদফতরের মহাপরিচালক দিলীপ সাহা, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মকবুল হোসন উপস্থিত ছিলেন।
চীনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন শানজি প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর ওয়াং ইয়াসিন, ডিরেক্টর ঝাও জুয়ানজো, শানজি প্রদেশের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের পরিচালক হান চুনলি। এসময় দু’দেশের বস্ত্র ও পাট শিল্পের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও এর অগ্রগতি প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাত থেকে রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বস্ত্র ও পাট শিল্পের প্রতি খুবই আন্তরিক। বস্ত্র খাতে বিদেশি বিনিয়োগকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত। বেসরকারি খাতে দেওয়া সরকারের অনেক বস্ত্রকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি খাতে হস্তান্তরের সময় বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো না মানায় বস্ত্রকলগুলো পুনঃগ্রহন করা হচ্ছে। বন্ধ বস্ত্রকলগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) বা সরকারিভাবে (জিটুজি) চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চীনের ডেলিগেটরা জানান, চীন আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধু প্রতীম দেশ। দু’দেশের নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। সে জন্য তারা বস্ত্র ও পাটখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়।
গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, বস্ত্র শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে সরকার। দেশের বৃহত্তম জেলাগুলোতে একটি করে টেক্সটাইল কলেজ এবং প্রতিটি জেলায় একটি করে ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান, রফতানি ও বিনিয়োগ বাড়ানোই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। এ জন্য ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ ও ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮‘ প্রণয়ন করা হয়েছে।