Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এর চেয়ে বড় উন্নয়ন মেলা আর কী হতে পারে’


১৮ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:৩০

ঢাকা: দেশের ৯৬ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে যাওয়াই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, এখন আমরা ভালো খাই, ভালো পরি। আমরা তিন বেলা ভাত খাই। তিন বেলা পেট ভরে ভাত খাচ্ছে— এই ভুভুক্ষু জাতির ইতিহাসে তেমন কোনো উদাহরণ ছিল না। সেই জাতির প্রায় প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বলছে। এ দেশের ৯৫/৯৬ ভাগ ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে গেছি। এর চেয়ে বড় উন্নয়ন মেলা আর কী হতে পারে! আর এর রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে উন্নয়ন মেলা ২০০৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সমাপনী অনুষ্ঠান হয়ে গেলেও আয়োজক পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) জানিয়েছেন, ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মেলা চলবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নয়। আমরা হস্তক্ষেপে বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী চান, সব সংস্থা যেন তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দ্বারা পরিচালিত হয়। যদিও ব্যাংকগুলো নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। নানা ধরনের বকাঝকার মধ্যে বাস করি। তারপরও চাই, ব্যাংকগুলো যেন তাদের নিজস্ব বোর্ড, নিজস্ব চেয়ার, নিজস্ব বিধি-বিধান অনুযায়ী চালুক।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে একদিনও একনেক সভায় (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) ১ মিনিট দেরি করে আসেননি। যেদিন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী একনেকে আসতে পারবেন না, তার আগের দিন জানিয়ে দিয়েছেন, কিন্তু দেরি করেননি। এটা বলার দরকার আছে এ দেশে। কারণ প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, উচ্চ অতিথি সভায় দেরি করে আসে। এ থেকে আমাদের শেখার আছে।’

বিজ্ঞাপন

বাঙালি জাতিকে হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, অনেক অনুষ্ঠানে যাই, যেখানে ঘর ভর্তি বাঙালি। একটি লোকও নেই যে অন্য কোনো ভাষা জানেন। কিন্তু সেখানে সবকিছু ইংরেজিতে উপস্থাপন করা হয়। আবার মুখে বলা হয় বাংলা, কিন্তু কাগজ করা হয় ইংরেজিতে। পুরো সেশনটাই ইংরেজিতে হয়, এতে যিনি বলছেন তারও কষ্ট হয়, আবার যিনি শুনছেন, তারও কষ্ট হয়। তারপরও এই কাজটা আমরা করে যাচ্ছি। এর কারণ, আমরা নিজেরা নিজেদেরকে সম্মান দিচ্ছি না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের উন্নয়ন হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ইনক্লুসিভ ইনডেক্সে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩৪তম, দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে। বৈষম্য দূর করে সবার জন্য উন্নয়ন করতে কাজ করছে সরকার। ডিজটাল বাংলাদেশ শুধু একটি উন্নয়ন এজেন্ডা নয়, এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এজেন্ডা।

অনুষ্ঠানের আরেক বিশেষ অতিথি পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, গ্রাম বাংলা উন্নত করা না গেলে দেশ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়বে। গ্রামে আজও কর্মসংস্থান কম। তাই পিকেএসএফের মতো কার্যক্রম আরও বেশি পরিচালনা করা প্রয়োজন। বিদেশে গিয়ে স্বনির্ভর হতে হবে— এমন কোন কথা নেই। দেশেই স্বনির্ভর হওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে হলে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়ন একসঙ্গেই করতে হবে। এছাড়া, মানবকেন্দ্রিক বহুমাত্রিক সমন্বিত উন্নয়ন করতে হবে। শুধু কোনো প্রকল্পকে সামনে আনলেই হবে না, মানুষকেই সামনে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলার চার দিনে প্রায় তিন কোটি টাকার পণ্য বিক্রি ও অর্ডার হয়েছে।

উন্নয়ন মেলা পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান পিকেএসএফ বিদ্যুৎ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর