চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দর থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে প্রায় আড়াই ঘণ্টা শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কাস্টমসের এক কর্মকর্তা সিএন্ডএফ’র এক কর্মচারীর গায়ে হাতে তুলেছে- এমন অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তারা। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে শুল্কায়ন বন্ধ করে দেওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাজে যোগ দিয়েছেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যান্ড সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাস্টম কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন সাহেব আমাদের এক কর্মচারীর গায়ে হাত তুলেছেন। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে তিনি কর্মচারীর কলার চেপে ধরেছেন। এর প্রতিবাদে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। আড়াই ঘণ্টা পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজে যোগ দিয়েছি।’
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাস্টমসে শুল্কায়ন সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্ট জমা হয়নি। টোটাল কাজই বন্ধ ছিল। পরে কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। সেখানে কর্মচারীরা তাদের হয়রানি সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।’
বৈঠকে উপস্থিত চট্টগ্রাম কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার আকবর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কর্মককর্তাদের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এজন্য তারা শুল্কায়ন সংক্রান্ত কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ রেখেছিলেন। পরে আমরা বৈঠক করে বলেছি, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সবাই সতর্ক থাকবেন। তখন তারা আবার কাজে যোগ দিয়েছেন।’