৭৪-এর দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি: সেলিমা রহমান
১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৫:৪০
ঢাকা: দেশে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে আবার সেই চুয়াত্তরের ভয়ানক ছায়া দেখতে পাচ্ছি। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দুর্ভিক্ষ, খুন, গুম, ধর্ষণ নৈরাজ্য এবং দ্রব্যমূল্য ব্যাপক হারে বেড়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের বর্তমান আমলে সেই একই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল এ মানববন্ধন আয়োজন করে।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘স্বৈরশাসক বাংলাদেশকে গ্রাস করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভোর ছয়টা থেকেই মহিলারা তাদের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে এক কেজি পেঁয়াজের জন্য দাঁড়িয়ে থাকছে। সেখানে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। এক প্রকার যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে তাদেরকে।’
‘কেন তাদেরকে এভাবে পেঁয়াজ কিনতে হবে? এর কারণ হল, দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকত, পেঁয়াজ এত দামে কিনতে হতো না’— বলেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়ে দেশে গুম, খুন, ধর্ষণ হত্যা এবং ক্যাসিনোকাণ্ড ঢাকা হচ্ছে। এরপরে দাম বাড়াবে চালের। চালের দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের ইস্যুকে ঢাকা হবে। এর পরে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে এ সমস্ত ইস্যুকে ঢাকা হবে।’
শুধুমাত্র ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার একের পর এক জনগণকে বিপদে ফেলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক করে রেখেছে। কারণ, তারা জানে বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকলে তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করতে পারবে না। জনগণকে বিপদে ফেলতে পারবে না।‘
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই স্বৈরাচারের যেমন পতন দরকার, তেমনি যে সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।’
কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় নেতা এস কে সাদীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মো. জসিম, এ এন এম রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, আলম হোসেন, লায়ন মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,এম জাহাঙ্গীর আলম, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।