Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অপহরণ নয়, স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন


১৯ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২২

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে দুই সন্তান নিয়ে উধাও হওয়া এক নারী সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের তৎপরতায় সাতদিন পর ফিরে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্তানসহ ওই নারী অপহরণের শিকার হয়েছেন ভেবে তারা উদ্ধারে নেমেছিলেন। কিন্তু ফিরে আসা নারী জানিয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ওই নারী দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে ফিরে আসার পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাদের হেফাজতে নেয়। এরপর তাদের জিডিমূলে নগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মঈনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি এভাবে এসেছিল যে, ওই নারীকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাচালক উধাও হয়ে গেছেন। অপহরণের ঘটনা বলে প্রচার চালানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ঘটনা ভিন্ন। ওই নারী নিজেই তার বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় চলে গিয়েছিলেন।’

ওই নারীর স্বামী প্রবাসী। তাদের চার বছর ও দুই বছর বয়সী দুই মেয়ে আছে। বাবার বাড়ি এবং শ্বশুর বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায়। গত ১২ নভেম্বর ওই নারী দুই মেয়ে ও মাকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর আমানবাজারে নানার বাড়ি থেকে সিএনজি অটোরিকশায় করে বোয়ালখালী উপজেলার শাকপুরায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে ওই নারীর মা নেমে দোকানে গিয়ে ফিরে এসে দেখে অটোরিকশাটি উধাও হয়ে গেছে।

এর পর তিনি চান্দগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি বলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথায় অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। মিনিট দশেক পর ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে-নাতনিসহ অটোরিকশাটি উধাও হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমিত দাশ সারাবাংলাকে জানান, অটোরিকশা নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় যাবার পর ওই নারী তার মায়ের কাছে একটি শাড়ি কিনে দেওয়ার আবদার করেন। অটোরিকশা থামিয়ে তার মা শাড়ির দোকানে ঢুকেন। এসময় ওই নারী অটোরিকশা চালককে গাড়ি নগরীর দামপাড়ায় শিল্পকলা একাডেমিতে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে আগে থেকে নারীর বন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন। চালক গাড়ি সেখানে নিয়ে যাবার পর ওই নারী সন্তানদের নিয়ে তার বন্ধুর সঙ্গে ঢাকায় চলে যান।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়, সেজন্য আমরা জিডির তদন্তভার নিই। অটোরিকশাচালকের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা যায়, তিনি আসলে নিরীহ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি তিনি অপহৃত হননি। সাবেক প্রেমিকের সাথে তিনি ঢাকায় পালিয়ে গেছেন। এরপর আমরা ওই নারীর বন্ধুকে ধরতে তৎপরতা শুরু করি। এক পর্যায়ে দুই সন্তানসহ ওই নারী মঙ্গলবার ফিরে আসেন চট্টগ্রামে।’

অপহরণ উধাও স্বেচ্ছায়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর