ব্যবসায়ীরা কষছেন ক্ষতির হিসাব
২০ নভেম্বর ২০১৯ ২১:১৪
ঢাকা: রাজধানীর টিকাটুলিতে অবস্থিত রাজধানী সুপার মার্কেট। বিরাট এলাকাজুড়ে এই মার্কেটে দোকানের সংখ্যা আনুমানিক ১৭০০। এরমধ্যে নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটটি কেবল দোতলা। সেই দোতলার কোনো একটি স্থান থেকেই বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সোয়া ৫টার দিকে আগুন লাগে।
মুহূর্তেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো দোতলায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। আগুনের তীব্রতা বাড়লে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় ঢাকার আশপাশের আরও কয়েকটি ইউনিট। সব মিলিয়ে মোট ২৫টি ইউনিটের চেষ্টায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন- দেড় ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে রাজধানী সুপার মার্কেটের আগুন
আগুনের পুরোটা সময়জুড়েই মার্কেটের আশপাশে ছিলেন সেখানকার ব্যবসায়ী ও কর্মীরা। তাদের অভিযোগ মার্কেটটিতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ছিল না।
প্রায় সব হারিয়ে দিশেহারা মার্কেটের ব্যবসায়ী বাবুল। ফয়সাল বেডিং স্টোর নামে একটি দোকান ছিল তার। আসন্ন শীত মৌসুমকে সামনে রেখে দোকানে তুলেছিলেন ২৪ থেকে ২৫ লাখ টাকার কম্বল। সব পুড়ে ছাই হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সারাবাংলার কাছে দাবি করেন তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী তাসনিম ফ্যাশনের মালিক আশরাফ উদ্দিন টিটু বলেন, ‘এই মার্কেটে এক হাজার ৭৮৮টি দোকান আছে। নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটের দোতলা আর নিচতলা মিলিয়ে ২৫০টি দোকান রয়েছে। আগুনে ১০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করছি।’
শাহজালাল নামে একজন জানালেন, মার্কেটের দুই তলায় ছিল তার ভাইয়ের কাপড়ের দোকান। সেটিও পুড়েছে। আর এতে তাদের অন্তত ১২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে তিনিও চেষ্টা করেছিলেন আগুন নেভানোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
তবে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাননি বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কোনো হতাহতের খবর পাইনি।’
আগুন নেভার পর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন কোনো আগুন নেই, আগুন নিভে গেছে। এখন ফায়ারের কর্মীরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছে। আগুনটা কেন লেগেছে সেটা জানতে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। কমিটি রিপোর্ট দিলে আগুন লাগার কারণ জানতে পারব।
আরও পড়ুন-
রাজধানী সুপার মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২৫ ইউনিট