নকলের সহযোগিতার অভিযোগে শিক্ষক বহিষ্কার
২০ নভেম্বর ২০১৯ ২২:২৬
ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা করায় বুধবার (২০ নভেম্বর) চাঁদপুর জেলায় এক শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, একই জেলায় মঙ্গলবারও দুজন শিক্ষককে বহিষ্কার করেছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন।
শাহাবুদ্দিন বলেন, নকলে সহযোগিতা করায় চাঁদপুর সদরের গুনরাজদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাতেমা বেগমকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি যে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন সেখানে শিক্ষার্থীরা খোলামেলাভাবে নকল করছিল কিন্তু তিনি সেটি দেখেও বাধা দেননি। এজন্য তাকে সাময়িকভাবে পরিষ্কারের পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই জেলার কচুয়া করইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষিককে মঙ্গলবার বহিষ্কার করা হয়। ওই দুই শিক্ষক রাশেদা আক্তার পলি ও শামীমা রশিদ শিক্ষার্থীদের নকল করতে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানা শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন নকল করছিল তখন এই শিক্ষকরা তা বন্ধ না করে বরং উৎসাহিত করেছিলেন। এজন্য তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে বহিষ্কার হওয়ার শিক্ষকদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর (রোববার) থেকে সারাদেশে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ২৪ নভেম্বর।
মোট ৭ হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন।
ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ এবং ছাত্রী সংখ্যা এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। দেশের বাইরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১৫ জন।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন। সমাপনীতে ৬টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩ হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।