দূষিত বাতাসের সকাল
২১ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪১
তো, যেটাকে শীত শুরুর কুয়াশা ভেবে আয়েশ করছিলেন, একটু পর যখন জানতে পারলেন, সেটা কুয়াশা নয় বরং আপনার শহরের দূষিত বায়ু আর কুয়াশার মিশ্রণ বা স্মগ তখন কেমন লাগবে? যখন ভাববেন, এই দূষিত বায়ুতেই শ্বাস নিচ্ছে আপনার ছোট্ট সন্তান কিংবা বৃদ্ধ বাবা-মা তখন আমার মতো কোথাও পালিয়ে যেতে ইচ্ছা করতে পারে।
কিন্তু, সেটা তো আর সম্ভব না। এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতেই বাস করতে হবে আমাদের। আর মেনে নিতে হবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার নানান ফলাফল। কারণ এই ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পেছনে আমাদেরও তো দায় কম নয়।
সকাল সকাল মেঘ রোদ্দুর লেখার জন্য অ্যাকুওয়েদার খুলতেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। সেখানে ঢাকার তাপমাত্রার নিচেই স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, আজকের ঢাকার বাতাস কিছু মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এখানে এই কিছু মানুষ বলতে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন মানুষের কথাই মূলত বোঝানো হয়েছে।
অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজ, তীব্র যানজট, মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযান ও শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত ভারী ধাতু ধুলার সঙ্গে যোগ হচ্ছে। সেই ধুলা কুয়াশার সঙ্গে মিশে তৈরি করছে এই স্মগ।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে এয়ার কোয়ালিটি মনিটরের সূচকে ঢাকার বাতাসের স্কোর ১৮৫। যাকে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এমনিতে ঢাকার আজকের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তা কমে দাঁড়াবে ১৮ ডিগ্রিতে। তবে দিনে রাতে সবসময়ই বাতাসের মান থাকবে একই রকম।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বাড়তি একটি অংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে অস্থায়ীভাবে দেশের অনেক স্থানের আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক। কোথাও কোথাও ভোররাত থেকে পড়বে কুয়াশাও।
অগ্রহায়ণের চমতকার সকালগুলো যেমন হতে পারতো, অস্বাস্থ্যকর বাতাসের জন্য তেমনটি আর হচ্ছে না। হয়ত শ্বাস নেওয়ার সময় কিছু বুঝছি না আমরা, কিন্তু এই বাতাস কতটুকু ক্ষতি করছে তা কেবল ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।
এই অস্বাস্থ্যকর বাতাসের দিন দ্রুত কেটে যাক আপাতত এটাই প্রত্যাশা করি।