চট্টগ্রামে স্কুলছাত্র হত্যায় ২ ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ কারাগারে
২১ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে স্কুলছাত্র জাকির হোসেন সানি খুনের মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিন মাস আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে আসামিরা চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
দুই আসামি হলেন- আনিসুর রহমান ও মো. মামুন। দুজনই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত বলে জানা গেছে।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই আসামি হাইকোর্টের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে ওমরগণি এমইএস কলেজের মূল ফটকের অদূরে ইক্যুইটি অতিথি ভবনের সামনে মারধর ও ছুরিকাঘাতে খুন হন জাকির হোসেন সানি (১৮)। সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার কলাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে সানি। চার ভাই, দুই বোনের মধ্যে সানি সবার ছোট। ঢাকার মিরপুরের একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল সানি।
সানির বড় বোন সিআইডিতে কর্মরত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দীনের স্ত্রী। ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কে কুতুব উদ্দীনের বাসায় বেড়াতে এসেছিল সানি। মৃত্যুর একবছর আগে চট্টগ্রামে বোনের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতে সানি।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন জাকিরের বড় বোন মাহমুদা আক্তার ইন্নি বাদী হয়ে নগরীর খুলশী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় করা এ মামলার আসামিরা হলেন- সৌরভ ঘোষ (২০), সৈয়দ সাফাত কায়সার (১৯), রবিউল (১৯), তূষার (২২), আনিসুর রহমান (৩০), আয়াতুল হক (২০) ও মো. মামুন (৩০)। এছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ফয়সাল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এতে ছাত্রলীগ নেতা আনিসুর রহমানকে মারধরের নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করেন ফয়সাল। আর মামুন প্রথমে আঘাত করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের জুনিয়র নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঝগড়ার জেরে সানিকে খুন করা হয় বলে জবানবন্দিতে এসেছে।