Sunday 20 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলুন, এই দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই: শেখ হাসিনা


২১ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:১১

ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই দেশ আপনাদের, আমাদের সকলের। চলুন, এই দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই।’

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও লক্ষ্যমাত্রাগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আত্মদানের কথাও স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মেয়েরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। এক সময় আমাদের মেয়েরা সশস্ত্র বাহিনীতে ছিল না। আমি ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে প্রথম মেয়েদের জন্য উন্মুক্ত করে দিই। আজকে আমাদের পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা মিশনে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং ভূয়সী প্রশংসা তারা অর্জন করছেন। আমি যতবারই জাতিসংঘে গিয়েছি, দেখা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করে। তারা যখন প্রশংসা করে সত্যি আমার গর্বে বুক ভরে যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, সশস্ত্র বাহিনীকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে যাতে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে। আগামীতে কিভাবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আরও আধুনিক করা হবে, যুগোপযোগী হবে ও সময়পযোগী হবে; সেই লক্ষ্য নিয়ে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি।’

সারাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য যেভাবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর জন্যও পরিকল্পনা নিয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা রেখে গিয়েছিলেন, তারই আলোকে এটি প্রণয়ন করা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এটাই চাই, প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। আধুনিকায়নের দিকে আমাদের যেতে হবে। বিদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের সরকার সবসময় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। আমরা তা নিচ্ছি।’

আমাদের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। নিজেরা নিজের দেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই সকলেই যার যার অবস্থান থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজের দেশকে গড়ে তুলবেন, সেটাই আমি চাই।’

‘কারও কাছে হাত পেতে না, কারও কাছে মাথা নত করে নয়। বিশ্ব দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে চলবে, সম্মানের সঙ্গে চলবে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসাবে আমরা চলব। এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেভাবে আমরা দেশকে গড়তে চাই।’

‘অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বে এখন পাঁচটি দেশের একটি হচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করি। অর্থাৎ আমরা যত বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করি তার ৯০ ভাগ আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করবার সক্ষমতা অর্জন করেছি’—বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলা ও পর্যায়ক্রমিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখবে। দেশে যদি শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে, তাহলে অগ্রগতি অবশাম্ভাবী, এটা হতেই হবে।’

‘তাই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে। সেই অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ যেন শান্তি ও নিরাপদে বাস করতে পারে। সেই ব্যবস্থা আমরা করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময়, সব ব্যবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে এবং সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে তার ভূমিকা রেখে যাবে।’

সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের সুখ-শান্তি-কল্যাণ কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। সুখ শান্তিতে বসবাস করেন। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, এই দেশ আপনাদের-আমাদের সকলের, এই দেশকে চলুন আমরা এগিয়ে নিয়ে যাই। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসাবে গড়ে তুলি।’

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর