কিউলেক্স মশা নিধনে অভিযান শুরু ডিএনসিসিতে
২১ নভেম্বর ২০১৯ ২১:৩০
ঢাকা: শুকনো মৌসুমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্তায় ‘মশক নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোড মাঠে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র।
অভিযানের আওতায় আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১০ দিনব্যাপী কিউলেক্স মশার ৬২৬টি প্রজননস্থলে (হটস্পট) পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এছাড়া ডিএনসিসির অধীন এলাকার সব কচুরিপানাও অপসারণ করা হবে।
এর আগে, কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১২জন কীটতত্ত্ববিদের সমন্বয়ে পরিচালিত এক সমীক্ষায় ডিএনসিসি এলাকায় মোট ৬২৬টি কিউলেক্স মশার হটস্পট চিহ্নিত করা হয়।
মশা নিধনের এই কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে যে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়, তারই ধারাবাহিকতায় কিউলেক্স মশা নিধনে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শে মশা নিধনে এরই মধ্যে বেশকিছু আধুনিক (চতুর্থ প্রজন্মের) যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হয়েছে। আমরা ২০টি মিক্সড ব্লোয়ার যন্ত্র এনেছি, যার সাহায্যে কাভার্ড ড্রেনগুলোর ভেতরে মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক (লার্ভিসাইড) সহজে কার্যকরভাবে স্প্রে করা যাবে। এছাড়া অল্পসময়ে বেশি এলাকায় পূর্ণাঙ্গ মশা মারার কীটনাশক (এডাল্ডিসাইড) ছিটানোর জন্য দুইটি ভেহিকেল মাউন্টেড ফগার মেশিন আমদানি করা হয়েছে। এমন মেশিন আরও তিনটি আমদানি করা হবে। এর ফলে মশা নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির গতি বাড়বে।
যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য আতিকুল ইসলাম নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এডিস মশা বাসাবাড়ির আশপাশে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। আর কিউলেক্স মশা বাড়ির সামনে ড্রেনে, ডোবা-নালায় ও ময়লা পানিতে বংশবিস্তার করে। তাই কিউলেক্স মশামুক্ত করতে হলে ডোবা-নালাগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।
মেয়র সরকারি-বেসরকারি সব দফতরকে নিজ নিজ এলাকা পরিচ্ছন্ন ও কচুরিপানামুক্ত রাখার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ফরিদুর রহমান ইরান, মো. শফিউল্লাহ, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।