Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে রুলের রায় ৫ ডিসেম্বর


২১ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৩২

ঢাকা: ১৯৯৯ সালের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ক তিনটি ধারা (২গ, ৩ ও ৬) কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ৫ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

আদালতের নির্দেশে গত ৭ নভেম্বর কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ে ৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি আদালতে তাদের মতামত দাখিল করেন।

কমিটি তাদের মতামতে বলেন, আত্মীয় নন— এমন কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন নেই। আইনের বাইরে অন্য কারও কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ তৈরি হলে দেশের দরিদ্র মানুষের জীবন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ধনীরা বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার করবে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের মাত্রা বাড়বে বলে অভিমত দেন এ বিশেষজ্ঞ কমিটি।

তবে সাত সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে মত দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন বিষয়ে দেশের বর্তমান আইন সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। এই আইনে নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কারও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার সুযোগ নেই। তাই একজন সুস্থ মানুষ চাইলে অন্য কাউকে তার অঙ্গ দান করতে পারেন— এমন আইন থাকা দরকার।

গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জানতে চান। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপউপাচার্য ও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির বাকি ছয় সদস্য হলেন— কিডনি ফাউন্ডেশনের চিফ কনসাল্ট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন-উর-রশিদ, বিএসএমএমইউ’র নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আসিয়া খানম, ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম খুরশীদুল আলম, বারডেম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মির্জা এম এইচ ফয়সাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নেহাল করিম এবং জাতীয় কিডনি ডিজিসেস ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা।

বিজ্ঞাপন

ফাতেমা জোহরা নামে এক ব্যক্তি ২০১৫ সালে তার মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডনি দান করেন। এরপরও মেয়ের কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দাতা পেলেও আইনি বাধার কারণে মেয়েকে আর কিডনি দিতে না পেরে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মানবদেহে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন কিডনি প্রতিস্থাপন মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর