Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এরা স্বৈরাচারের বাবা’


২২ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:৫৫

ঢাকা: বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরাচারের বাবা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বলেন, এটা স্বৈরাচার সরকার। এরা স্বৈরাচার নয়, স্বৈরাচারের বাবা, ফ্যাসিবাদী। স্বৈরাচার হলে তাদের মিনিমাম একটা কিছু থাকে। এরশাদ ছিল স্বৈরাচার, তখন তো এই অবস্থা ছিল না। আইয়ুব খান ছিল স্বৈরাচার, ডিক্টেটর— তখনো এই অবস্থা ছিল না। এটা তো ফ্যাসিবাদ। কিছু নেই, একজন, এক ব্যক্তির শাসন।’

তিনি বলেন, `এই সরকার সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। আমর মনে হয় না যে, বলার কিছু আছে। প্রতিটি মানুষ চায় এই সরকার চলে যাক। এই মুহূর্তে গেলে আরও ভাল। কারণ, আর পারা যায় না, মানুষ আর পারছে না। গত ১০ বছর ধরে বিএনপিকে পিটিয়েছে। এখন সাধারণ মানুষকে পেটাতে শুরু করেছে—পেঁয়াজ-লবণ সব কিছু দিয়ে। দাম এমনভাবে বাড়ানো হচ্ছে যে, সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।’

সরকার সব খাওয়া শুরু করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘সেলিম আল দীনের মুনতাসির ফ্যান্টাসি নাটকের প্রধান যে চরিত্র, তার এতো ক্ষধা, সে খেতে খেতে চেয়ার-টেবিল সব কিছু খেয়ে ফেলছে। এরা সেই মুনতাসির ফ্যান্টাসির মধ্যে পড়েছে। এখন সব কিছু খাওয়া শুরু করেছে।’

‘এর আগে ক্যাসিনো খেল, বড় বড় প্রজেক্ট খেল। এখন সাধারণ মানুষের পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে। এই সরকারের একটাই উদ্দেশ্য- যে কোনো প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকা, বিত্তশালী হওয়া বিদেশে অর্থ পাচার করা এবং তাদের সন্তানকে নিরাপদে রেখে দেওয়া। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করার কোনো অবকাশ তাদের নেই— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১০/১২ বছর ধরে আমরা এই অবস্থার মধ্যে আছি। হতাশ হবার কিছু নেই। নেনসল ম্যান্ডেলা ২৭ বছর জেলে ছিলেন। অং সান সু চি ২২ বছর গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের জয় হয়েছে, গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। আমাদের নেত্রী আজ কারাগারে। কারাগারে নিজের জন্য নয়। কারাগারে আমাদের জন্য, এই দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করার  জন্য।’

ফখরুল বলেন, মরা গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করছি। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এমন গণআন্দোলন সৃষ্টি করব, যে গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন, গণতন্ত্র মুক্ত হবে— এটা আমাদের বিশ্বাস। কারণ, এই দেশের যে ইতিহাস, মানব সভ্যতার যে ইতিহাসে, তাতে এই ধরনের ফ্যাসিবাদ  বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।’

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংবাদিক নেতা আবদাল আহমেদসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

টপ নিউজ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বৈরাচার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর