শারীরিক সক্রিয়তায় এগিয়ে বাংলাদেশের শিশুরা
২২ নভেম্বর ২০১৯ ১৬:৪২
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও নগরায়ণের কারণে এ সময়ের শিশুদের পেয়ে বসেছে আলস্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১১-১৭ বছর বয়সী প্রতি ৫ শিশুর ৪ জনই দিনে অন্তত ১ ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় নয়। যা শতকরা হিসেবে ৮৫ ভাগ মেয়ে ও ৭৮ ভাগ ছেলে। এই সমস্যা উন্নত ও অনুন্নত সব দেশেই রয়েছে। খবর বিবিসির।
তবে প্রতিবেদন অনুসারে, ছেলে ও মেয়ে শিশুদের শারীরিক সক্রিয়তায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো করেছে বাংলাদেশ। যদিও শতকরা ৬৬ ভাগ ছেলেমেয়ে দৈনিক এক ঘণ্টাও শারীরিক সক্রিয় নন।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ফিলিপাইন্স এর ছেলেরা ও দক্ষিণ কোরিয়ার মেয়েরা। দেশদুটি শতকরা ৯৩ ও ৯৭ ভাগ ছেলেমেয়ে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চায় নিষ্ক্রিয়। তালিকায় লক্ষণীয় বিষয় হলো, টোঙ্গা, সামোয়া, আফগানিস্তান ও জাম্বিয়ার মেয়েরা দেশগুলোর ছেলেদের চেয়ে বেশি সক্রিয়।
তবে আশার বিষয় হলো ২০০১ থেকে ২০১৬ সালের তথ্যের জরিপে ল্যাসেন্ট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলসেন্ট হেলথ কর্তৃপক্ষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সে সময় বিশ্বব্যাপী শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ছেলেদের ছিল শতকরা ৮০ ভাগ, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৮৫ ভাগ। বর্তমানে সচেতনার তৈরি হওয়াতে এক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ডক্টর মার্ক ট্রেম্বলি বলেন, ইলেকট্রনিক বিপ্লবে মানুষের জীবনধারণের রীতি পাল্টে গেছে। তাই ঘর ও চেয়ারের মধ্যেই শিশুদের সময় কাটাতে হচ্ছে।
যেসব শিশুরা শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয় তাদের কর্মদক্ষতা অধিকতর ভালো বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।