শাটল ট্রেনে গান গাইতে গাইতে আরেকবার চবি যেতে চান তথ্যমন্ত্রী
২২ নভেম্বর ২০১৯ ১৯:১৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে এসে আবেগতাড়িত হয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানেরই সাবেক ছাত্র তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি ফিরে গেছেন তারুণ্যের সেই দিনগুলোতে। সবুজ পাহাড়ের কোলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা বলেছেন মন্ত্রী। শাটল ট্রেনে চড়ে গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে ক্যাম্পাসে যাওয়া এবং শহরে ফেরার সেই মুখর দিনগুলোরও স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার এর উদ্বোধন করেন।
দুপুরে পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে স্মৃতির ঝাঁপি মেলে ধরেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হাছান মাহমুদ। আশির দশকের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রনেতা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তিনবারের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ দুই দফায় সরকারের মন্ত্রণালয়ও সামলাচ্ছেন।
বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বললেন, আরেকবার শাটল ট্রেনে চড়ে বন্ধুদের নিয়ে গলা ছেড়ে গান গাইতে গাইতে ক্যাম্পাসে যেতে ইচ্ছে করছে তাঁর। এই ইচ্ছা আর কখনো পূরণ হবে কি-না, এমন আক্ষেপও করেছেন।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন আমি প্রধানত চট্টগ্রাম শহরে থাকতাম। মাঝে মধ্যে হলেও থাকতাম। পরীক্ষার আগে বিশেষ করে হলে কয়েকমাস থাকতাম। ট্রেনে করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতাম। ট্রেনে গলা ছেড়ে গান আমিও গাইতাম। আমার বন্ধুরা এখানে অনেকেই আছে। তারা সবাই এখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সেজন্য কারা কারা গান গাইতো, সেটা আর বললাম না, কারণ তারা লজ্জাও পেতে পারেন। তবে আমি গান গাইতাম। সেই যে গলা ছেড়ে গান গাওয়া, আমার ইচ্ছে হয় যদি আবার সেই বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলেয়ে গান গাইতে গাইতে যেতে পারতাম। এটা আর কখনো হবে কি-না জানিনা। তবে খুব ভালো লাগতো,’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিন্তু এমন সুন্দর প্রকৃতির শোভা পৃথিবীর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চেনা মুখগুলো বহু বছর দেখিনি, তাদের সাথে দেখা হলো আজ। ইচ্ছে করে আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে। যেই বালুকণায় জড়িয়ে আছে আমাদের অনেক স্মৃতি, যেখানে আমরা সময় কাটিয়েছি, সেই দিনগুলোতে ফেরত যেতে ইচ্ছে করে। যে যেখানেই আছি, সবাই মিলে আমরা আমাদের দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেব, এটাই হোক পুর্নমিলনীর প্রত্যাশা।’
পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক চার উপাচার্যকে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত উপাচার্যরা হলেন- অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, বদিউল আলম, ড. আলাউদ্দিন ও আনোয়ারুল আজিম আরিফ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুল করিম, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, প্রথম পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন।