বিটিআরসিকে ২০০০ কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ
২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১১:৩০
ঢাকা: প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনার মধ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এখন দুই হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৪ নভেম্বর)প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
যদি এ টাকা পরিশোধ করা না হয়, তাহলে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা আদায়ের ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে বলেও আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী। অন্যদিকে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।
আদেশের পর গ্রামীণফোনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, দুই হাজার কোটি টাকা না দিলে তিন মাস পরে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়ে যাবে। আমরা আদেশ পাওয়ার পরে ক্লায়েন্টের (গ্রামীণফোন) সঙ্গে আলাপ করবো, রিভিউ করবো কিনা। তিন মাস সময় আছে। আর এক মাসের মধ্যে রিভিউ করার জন্য সুযোগ আছে।
বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব বলেন, বিটিআরসির যে পাওনা ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা, এর মধ্যে তারা (গ্রামীণফোন) যদি দুই হাজার কোটি টাকা এখন না দেন তাহলে হাইকোর্ট থেকে যে নিষেধাজ্ঞা নিয়েছিলো সেটা ভ্যাকেট (প্রত্যাহার) হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এর অর্থ হলো এখন গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। তারা যদি না দেয় তাহলে বিটিআরসি যে কোনো অ্যাকশন নিতে আইনগত আর কোনো বাধা থাকবেনা। আদেশের অনুলিপি পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এখন হচ্ছে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে যদি তারা দুই হাজার কোটি টাকা দেয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটাতো ফাইনাল সেটেলমেন্ট না। এখন দুই হাজার কোটি টাকা দিলে পরবর্তীতে যদি দেখা যায় মামলায় বিটিআরসি আরও বেশি টাকা পায় তাহলে দিবে। সুতরাং আমরা আপাতত সন্তুষ্ট। এটাতো ফাইনাল না। আমার সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। এটা নিয়ে কোর্টে মামলা চলছে। হাইকোর্টেও আছে। ওই মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরে জানা যাবে বিটিআরসি আর কত টাকা পাবে কি পাবে না।
গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসির প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি আদায়ের ওপর দু’মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেন। পরে গ্রামীণফোনের কাছে ওই টাকা দাবি আদায়ের ওপর হাইকোর্টের দু’মাসের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা স্থগিত চেয়ে বিটিআরসি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।