‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে চাপ দেবে না চীন’
২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৩:২৪
ঢাকা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়ই বন্ধুরাষ্ট্র হওয়ায় রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে মিয়ানমারকে কোনো চাপ দেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। এছাড়া সমস্যাটি কূটনীতির মাধ্যমে নিজেদের মিটিয়ে ফেলারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কৌশল সন্ধান’ বিষয়ক সেমিনারে রাষ্ট্রদূত জিমিং এসব কথা বলেন।
লি জিমিং বলেন, ‘মিয়ানমার বন্ধু রাষ্ট্র হলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের কারও প্রতি কোনো পক্ষপাত নেই। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সার্বভৌম দেশ, তাই এ নিয়ে কোনো দেশের ওপরই চাপ প্রয়োগ করতে পারে না বেইজিং।
এছাড়া রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে একটি নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার চীন সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। দুই বছর ধরে এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) স্থানীয় প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেখানে রয়েছে আমার ৩০ বছর জীবনে এমন অবর্ণনীয় যন্ত্রণাদায়ক শরণার্থী ক্যাম্প দেখিনি। একমাত্র বাধ্য হয়েই তারা সেখানে বসবাস করছে।’
তিনি আরও জানান, ‘শতকরা ৯৭ জন রোহিঙ্গা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে মিয়ানমারে ফিরে যাবেন। এজন্য দরকার শান্তিপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় নিরাপদ প্রত্যাবাসন।‘
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চি ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত সরকারের পক্ষে লড়বেন। এখন দেখার বিষয় কী ঘটে। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাক। কিন্তু, দুর্ভাগ্য একজন রোহিঙ্গাও এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে ফেরত যায়নি।’