Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নতুন আইন প্রয়োগ বন্ধ না, শিথিল করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


২৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৪৭

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগ বন্ধ করা হয়নি। বিআরটিএ’র দুর্বলতার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। আর এসব অসঙ্গতি দূর করতে চার সচিবের নেতৃত্বে চারটি সাব কমিটি কাজ করবে।

তিনি জানান, সড়ক মহাসড়কে নৈরাজ্য দূর করে শৃঙ্খলা ফেরাতে আরও সরকার চারটি কমিটি গঠন করেছে। চার মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সমন্বয়ে গঠিত সাব কমিটিগুলো সড়কে বিশৃঙ্খলার কারণ চিহ্নিত করবে, পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ চার সাব কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, আইন বাস্তবায়নে কিছু দুর্বলতা ছিল। বিআরটিএ এখনো অনেক লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেনি। আইনটি বাস্তবায়নের আগে এসব বিষয় দেখা উচিত ছিল। সেই কারণে চালকদের সময় দেওয়া হয়েছে। এসব সমস্যা আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। যারা নির্ধারিত মেয়াদে গাড়ির ফিটনেস ট্যাক্স দেননি, তাদের জরিমানা মাফ করার দাবি জানিয়েছিলেন চালকরা। তাদের আবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী সুপারিশ করে আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দিলে ট্যাক্স মাফ করে দেওয়া হবে। তবে একবারই মাফ করা হবে, পরে আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

সড়ক আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন সড়ক আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান নেই। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত বছরের সাজা হবে এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কত টাকা জরিমানা হবে সেটি লেখা রয়েছে। অপ্রচারে চালকদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত বছর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ১১১ দফা সুপারিশ করে। সেগুলো বাস্তবায়নেও বিশেষ নতুন সাব কমিটি। এদের মধ্যে সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব সড়ক সংক্রান্ত বিষয়ে বেশি নজর দেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) শক্তিশালী করতে এবং অসঙ্গতি দূর করতে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব দেখবেন সড়ক মহাসড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে জেলা ও উপজেলায় সড়কের অসঙ্গতি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর জনসচেতনা বাড়াতে কাজ করবেন তথ্য সচিব। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই চার কমিটিকে তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে— বলেন তিনি।

আরও চার কমিটি সড়কে শৃঙ্খলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর