সমুদ্রে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসছে নতুন আইন
২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৯:২২
ঢাকা: সমুদ্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ১৯৭৪ সালের সমুদ্র আইনকে সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে। আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সংশোধিত নতুন আইনটি অনুমোদন পেতে পারে বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংশোধিত আইনে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সমুদ্র এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ববস্থাপনা এবং সঠিক ব্যবহারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রে পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগ, মৎস ও প্রাণিসম্পদ, জ্বালানি নিরাপত্তা, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজভাঙা শিল্প, দক্ষ জনবল তৈরি, পর্যটন ও পরিবেশ সুরক্ষাকে আগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের জুনে জাতীয় সংসদে এই আইন বিষয়ে বলেন, সমুদ্র বিজয়ের পর সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) জোরদারে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। এখন সমুদ্র অর্থনীতি (ব্লু ইকোনমি) কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়নের কাজ চলছে, যেন জ্বালানি, খনিজ ও মৎস সম্পদসহ সামুদ্রিক সম্পদের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা যায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, ১৯৭৪ সালের আইনে ৯টি ধারা ছিল। বর্তমানে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনের খসড়ায় ১১৬টি ধারা রাখা হয়েছে। সংশোধিত আইনের খসড়ায় মোট সমুদ্রসীমার বিস্তৃতি উল্লেখ করে দেশি-বিদেশি জাহাজ চলাচল কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তার বিস্তারিত বলা হয়েছে। মহীসোপান, গভীর সমুদ্র ও একচ্ছত্র অর্থনৈতিক আঞ্চল থেকে কীভাবে সম্পদ আহরণ করা যাবে, তার বিস্তারিত নির্দেশনাও রয়েছে সংশোধিত আইনে।
প্রস্তাবিত সংশোধিত আইনটি অনুমোদন পেলে বিদেশি ডুবোজাহাজ ও যুদ্ধজাহাজের বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করার প্রয়োজন হলে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। যুদ্ধজাহাজ, সামরিক বিমান ও অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত কোনো জাহাজ যদি বাংলাদেশের জলসীমায় ডুবে যায়, তবে তা বাংলাদেশের সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে। সরকারের অনুমতি ছাড়া পারমাণবিক বা অন্য কোনো ধরনের বর্জ্য নিয়ে কোনো জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকলে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন অনুযায়ী বিচার হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সমুদ্র সীমায় কেউ বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাতে পারবে না বলেও উল্লেখ থাকবে নতুন রূপে হাজির হতে যাওয়া সমুদ্র আইনে।